সংসদে আসন বণ্টন নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে। বেলডাঙায় ইন্টারনেট বন্ধ। এসব নিয়ে কথা বলবেন, না আগে বসবেন না পরে বসবেন না ছাদে বসবেন সেই নিয়ে আলোচনা চলবে।
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধ নেই। সরকারের কাছে কোনো চাকরি নেই। প্রতারিত মেধা নিয়ে ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বসে আছে। বাংলাদেশে হিন্দুর ওপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন চলছে, আর পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলায় সেটাকে সেলিব্রেট করা হচ্ছে। বেলডাঙ্গায় বন্ধ করে রাখতে হয়েছে ইন্টারনেট। এইতো রাজ্যের পরিস্থিতি। এইসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন? না কোথায় কে আগে বসবেন না পরে বসবেন না ছাদে বসবেন সেই নিয়ে আলোচনা চলবে?’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও অত্যন্ত ভয়াবহ। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে আক্রমণ চলেছে। মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে, চার্চ ভাঙ্গা হচ্ছে। হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধরা সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন। ভারত সরকার কড়া বার্তা দিয়েছে। সরকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে তাদের মতো করে চেষ্টা করছেন। সারা ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবীর হিন্দুরা আগামী দিনে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন এটা আমরা বিশ্বাস করি। এবং বাংলাদেশে যে সরকার চলেছে তারা দেশ হিন্দুশূন্য করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় হিন্দু যুবকের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। আমরা কেউ মৌলবাদকে চিনতে পারিনি। যারা তক্ষশীলা, বিক্রমশিলা, নালন্দাকে ধ্বংস করেছে, তারাই বাংলাদেশের জন্মদাত্রী। শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী নামাঙ্কিত ওখানে যে লাইব্রেরিটা আছে, তারা ভেঙে দিয়েছে। ধর্মান্ধ একজন মুসলমান যে কাজ করে থাকে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা। আমাদের পূর্বপুরুষেরা অতীতে যে অত্যাচার ভোগ করেছে এখন সেটা বাংলাদেশে হিন্দুদের ভোগ করতে হচ্ছে। এর জন্য দায়ী হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে ভারতবর্ষের রাষ্ট্র নায়করা। স্বাধীনতার আগে তাদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি।’
হিন্দু বাঙালি সাংবাদিক কর্মস্থলে ঘেরাও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হিন্দু হয়ে বাংলাদেশে থাকাটা এই মুহূর্তে অপরাধ। কমিউনিস্ট পার্টির যিনি নেতা ছিলেন তিনি ধর্ম মানেন না। তাঁর সঙ্গে তো আওয়ামি লিগ, বিএনপি কারোরই কোন সম্পর্ক ছিল না। আজকে দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই, ওখানে কমিউনিস্ট পার্টির হিন্দু নেতাকে প্রথম দিনেই গুলি করে খুন করা হলো। পশ্চিমবঙ্গের কোনও কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে যারা কথা বলেন তারা একটা কেউ বক্তব্য রাখলেন না। ঘটনার প্রতিবাদ কেউ করলেন না রাস্তায় নামা তো অনেক দূরের কথা।’
বাংলাদেশ প্রশাসন যারা আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘুরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না সেই প্রসঙ্গে।।
দেখুন ওখানে জামাত, সেনা এবং পুলিশ আর এই ইসলামিক মৌলবাদী যারা তারা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ করছে। আজ সকালেও একটি মুসলিমের এক মৃতদেহ হরিজন বস্তির সামনে চট্টগ্রামে পাওয়া যায় , রটিয়ে দেওয়া হলে খুন করা হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে গোটা হরিজন বস্তি কে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হলো এটা আজকের ঘটনা চট্টগ্রামের ।