সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনে বিরাম নেই বাংলাদেশে। দুর্গাপুজোর মুখে সেদেশে ফের ভাঙচুর হল একের পর এক নির্মীয়মান দুর্গাপ্রতিমা। এবার অভিযোগ এসেছে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার ভাঙা উপজেলা থেকে। সেখানে একটি মন্দিরে ৮টি নির্মীয়মান দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সেদেশের পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন - অভিজিৎ মণ্ডলের হয়ে সাওয়াল করায় শিয়ালদা আদালতে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে আইনজীবী
পড়তে থাকুন - জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নয়, চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু,ক্ষতিপূরণ ফেরাল পরিবার
ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার সদর বাজার এলাকায় একটি হরি মন্দিরে চলছিল আসন্ন দুর্গাপুজোর প্রতিমা নির্মাণের কাজ। সেখানে একাধিক দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। হরি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তরুণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে মৃৎশিল্পীরা মাটির কাজ শেষ করে গিয়েছেন। বৃষ্টি বাদলা কাটলে প্রতিমা রং করার কাজ শুরুর পরিকল্পনা করছিলাম। মোট ১৪টি প্রতিমা রয়েছে সেখানে। তার মধ্যে ৮টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। কোনওটার হাত, পা, কোনওটার আবার মাথা ভেঙে দিয়ে গিয়েছে। আমরা পুলিশকে বিষয়টা জানিয়েছি। পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা এর বিচার চাই।’
দুর্গাপুজোর মধ্যে এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে। ইতিমধ্যে সেদেশে দুর্গাপুজোর মধ্যে নমাজ চলাকালীন লাউজ স্পিকার ও ঢাক বাজানো যাবে না বলে ফতোয়া জারি হয়েছে। যা সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মাচরণে বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তার মধ্যে এই ঘটনায় ২০২২ সালে দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দুবিরোধী হিংসার স্মৃতি ফিরে এসেছে অনেকের মনে। ওই বছর বাংলাদেশে দুর্গাপুজো চলাকালীন গুজবের ওপর ভিত্তি করে ব্যাপক হিংসা হয়। ভাঙচুর করা হয় একের পর এক দুর্গামণ্ডপ ও মন্দির। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল বহু মণ্ডপে। সেই ঘটনায় মোট ১০ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন - 'যারা মৃতদেহের পর্নোগ্রাফি বানায় তাদেরই রোগীকল্যাণ সমিতিতে রাখবেন মমতা'
ফরিদপুরের ঘটনায় স্থানীয় থানার ওসি জানিয়েছেন, ‘পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।’