তাঁর দু’দিনের সফরে বাংলায় আসার কথা ছিল। তারপর এখানে এসে মুর্শিদাবাদে একটি জনসভা করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ ঠিক হয়েছে অমিত শাহকে দিয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে জনসভা করাবে না বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কারণ বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করতে হলে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি না করাই ভাল। ওইদিন রাজনৈতিক কর্মসূচি বা জনসভা করলে যেটুকু সমর্থন রয়েছে সেটাও ধুলোয় মিশে যাবে। এই সাত–পাঁচ ভেবে বাতিল করা হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জনসভা। তবে তিনি কলকাতায় এসে মেতে উঠবেন রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বাংলার মানুষ হিন্দিভাষী কোনও নেতার বক্তব্য শুনতে যাবে না বলে বুঝতে পেরেছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। সুতরাং মুর্শিদাবাদে যদি জনসভা করতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেটা ফ্লপ শোয়ে পরিণত হবে। তাই পূর্বের সূচি থেকে দু’দিনের পরিবর্তে ছেঁটে একদিন করা হয়েছে। অর্থাৎ অমিত শাহ একদিনের সফরে বাংলায় আসবেন। আর ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রাজ্যে সফরে এলেও কোনও ‘রাজনৈতিক কর্মসূচি’ করবেন না তিনি। এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি বিজেপি। তবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কেন এমন মনে হয়েছে? বাঙালির নববর্ষ পয়লা বৈশাখ কলকাতায় ছিলেন অমিত শাহ। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে বীরভূমের সিউড়ির সভা করেছিলেন। সেখানে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ফলত রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন জনসভা করলে সেটা বড় আকার ধারণ করবে। আগামী ৮ মে বাংলায় আসবেন অমিত শাহ। থাকবেন ৯ মে। এই সব বুঝতে পেরেই ওই দিন কোনও রাজনৈতিক সভা–সমাবেশ করা হবে না বলেই ঠিক হয়েছে। তাই শুধু রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনে অংশ নিতে পারেন অমিত শাহ বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? পঁচিশে বৈশাখে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে অমিত শাহের যাওয়া এবং সন্ধ্যায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। আর সন্ধ্যেবেলায় সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে হাজির থাকবেন অমিত শাহ। তবে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে। রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিনে অমিত শাহকে এনে ‘রাজনৈতিক’ কর্মসূচি নিলে সেটা বাঙালির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। এমনকী সমালোচনাও হতে পারে। তাই রবীন্দ্রজয়ন্তীতে কলকাতায় এসে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শাহ বলে সূত্রের খবর।