বাজেট পেশ। তারপর তা নিয়ে সংসদে আলোচনা। সেসব চলার মধ্যেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। যার ফলাফল বের হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। সেক্ষেত্রে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখন টানটান ক্লাইম্যাক্স। রাজনীতিবিদদের চরম ব্যস্ততার সময়। আর সেই সময়ই বাংলায় সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের তাই এখন থেকে ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠেছে। কারণ আজ ১ ফেব্রুয়ারি। সুতরাং হাতে বেশি সময় নেই। শাহকে অভ্যর্থনা জানানোর পাশাপাশি সংগঠন নিয়ে যে হোমওয়ার্ক দেওয়া ছিল তাও প্রস্তুত রাখতে হবে।
এদিকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক আগেই থেমে গিয়েছে। আর সংগঠন এখনও মজবুত হয়নি। সেই রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসলের কাছ থেকে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনও লেগে রয়েছে। সেটা আবার সরাসরি শুভেন্দু অধিকারী বনাম সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে। যা প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে পদ্ম–নেতাদের। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী নয়াদিল্লি গিয়ে অমিত শাহের বাসভবনে বৈঠক করেছেন। তারপর অমিত শাহের এই বঙ্গ–সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে এসে বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অমিত শাহ বলে বিজেপি সূত্রে খবর। যা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।
আরও খবর: নিজেদের তৈরি করা নিয়মই মানল না সিপিএম, সরতে চাইলেন মানিক ধরে রাখল দল
অন্যদিকে বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যে বৈঠক কলকাতায় বসবে তাতে উপস্থিত থাকবেন জগৎপ্রকাশ নড্ডা। তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সুতরাং তাঁরও হতে চলেছে বঙ্গ–সফর বলে সূত্রের খবর। দলের অন্দরে শুভেন্দু বিরোধী গোষ্ঠী সরাসরি নালিশ করেছে জেপি নড্ডাকে। এমনকী চিঠি পর্যন্ত তাঁকে পাঠানো হয়েছে বাংলা থেকে। আর তা পাঠিয়েছেন একজন সাংসদ। শুভেন্দু অধিকারী যতই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে আসুন এই কেন্দ্রীয় বৈঠকে সব সামনে চলে আসবে। সুতরাং বাংলার মাটিতে এবার হাইভোল্টেজ বৈঠক হতে চলেছে।
আরও খবর: ১২ লাখ পর্যন্ত আয়ে দিতে হবে না কোনও আয়কর, কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা নির্মলার
এছাড়া বঙ্গ–বিজেপি সূত্রে খবর, বাজেট অধিবেশনের পর শুধুমাত্র দলীয় কর্মসূচি নিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় আসছেন। তবে প্রকাশ্য কোনও সমাবেশ করবেন কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। ফেব্রুয়ারি মাসে আসছেন এটা ঠিক। তবে সেটি ১০ তারিখ না ১২ তারিখ বা অন্য কোনও তারিখ কিনা এখনও জানানো হয়নি। তবে দু’একদিনের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। অমিত শাহের সঙ্গে জেপি নড্ডার আসার কথা। তবে সেটাও এখনও চূড়ান্ত নয়। আগামী ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে সবকিছু ঠিকঠাক করতে চাইছে পদ্মশিবির। সব ঠিকঠাক হবে তো? উঠছে প্রশ্ন।