বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিম ছড়িয়ে পড়ে। সেটা হল— তালিবানের হাতে কাবুল আর তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে বাবুল। এই পরিস্থিতিতে একাধিক নাম ভেসে উঠেছে দলবদলের। বিজেপির তালিকাতেও সেই নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এবার কারা? এই পরিস্থিতি সাংসদ সুনীল মণ্ডল এবং আরও দুই বিজেপি নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্র বলে সূত্রের খবর। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু এখন তিনি বলেন, ‘আমি তো তৃণমূল কংগ্রেসই ছিলাম।’ গত রবিবার বাবুল সুপ্রিয়র প্রথম সাংবাদিক বৈঠক যে হোটেলে হয়, সেখানে তাঁকেও দেখতে পাওয়া যায়। নিরাপত্তা প্রত্যাহারের তালিকায় থাকা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দাও। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই বিজেপিতে যান। এখন তাঁরই সেই নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
তিনি মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র তথা ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা। তাঁরও নিরাপত্তা ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে। তাই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সুনীল মণ্ডল, অশোক দিন্দার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দলবদলের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই খবরই গিয়ে পৌঁছেছে।
এই দু’জন ছাড়াও আরও এক বিজেপি নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিনি হলেন শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে তিনি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। তাহলে তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার কেন? জেলা বিজেপি থেকে যে রিপোর্ট গিয়েছে তাতে দলবদলের সম্ভাবনার তালিকায় তাঁর নামও রয়েছে। সম্প্রতি তিনি নাকি এক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও সূত্রের খবর।