ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রচারের তালিকায় থেকেও না আসায় টুইট করে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। তারপর নতুন রাজ্য সভাপতিকে বরণ করার অনুষ্ঠানেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে তাহলে কী এবার তৃণমূল কংগ্রেসে লকেট? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘উনি যাবেন কিনা জানি না। তবে এখানে আসেননি বলে গান ধরেছি, আজ সবাই এসেছে শুধু তুমি এলে না।’ আজ সুকান্ত মজুমদারকে বরণের অনুষ্ঠান ছিল।
শনিবার বিধাননগরে পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রের (ইজেডসিসি) প্রেক্ষাগৃহে ছিল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সেখানে রাজ্য বিজেপির বেশিরভাগ নেতাই ছিলেন। শুধু ছিলেন না হুগলির সাংসদ। রাজ্য বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়েই এদিন জোর চর্চা শুরু হয়। যদিও লকেটের দাবি, তিনি নয়াদিল্লিতে দলের কাজে ব্যস্ত আছেন।
তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আগে আলাদাভাবে বরণ করেছিলেন হুগলির সাংসদ। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার তিনি কলকাতায় ফিরছেন। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে লকেট বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই সুকান্তর সঙ্গে দেখা হল নয়াদিল্লিতে। ওঁর দিল্লির বাড়িতে আমি গিয়েছিলাম। অভিনন্দন জানিয়ে এসেছি। সে দিনই আমার সঙ্গে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হয়েছে। আমি তখনই জানিয়েছিলাম যে, উত্তরাখণ্ড নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় কলকাতায় থাকছি না।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার লকেট বনাম কুণাল টুইট–যুদ্ধ লেগেছিল। কুণাল টুইটে লেখেন, ‘দলের বহু অনুরোধ সত্ত্বেও তারকা প্রচারক লকেট চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে না নামায় তাঁকে অভিনন্দন।’ তার পরেই লকেট তেড়েফুঁড়ে পাল্টা টুইটে লেখেন, ‘আপনি বরং, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে না হারেন সে দিকে নজর দিন।’ তারপর এই অনুপস্থিতি গুঞ্জন বাড়িয়েছে।