প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলেও শ্রম নির্ভর এই শিল্পে এখনও শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। একটি গেঞ্জি তৈরি করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ১২ জন কর্মীর প্রয়োজন হয়। তাই এই শিল্পে কর্মী সঙ্কট মেটাতে একে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আনার দাবি তুলল হোশিয়ারি শিল্পের সর্বভারতীয় সংগঠন ফোহমা (ফেডারেশন অফ হোশিয়ারি মেনুফ্যাকাচারার্স অ্যাসোশিয়েশন অফ ইন্ডিয়া)। এ বছর সংগঠনটি ৫০ বছরে পা দিয়েছে। সেই উপলক্ষে শনিবার তাজ বেঙ্গলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করলেন ফোহমার সভাপতি কেবি আগরওয়াল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং কেন্দ্রীয় বস্ত্র কমিশনার রূপ রাশি।
কোভিড ধাক্কা কাটিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি। একই অবস্থা হোশিয়ারি শিল্পের ক্ষেত্রেও। কেবি আগরওয়াল বলেন, এই শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারে পাশে থাকার প্রয়োজন। এ জন্য তিনি সরকারের কাছে প্রযুক্তি উন্নয়ন ফান্ড স্কিমেরও(TUFS) দাবি করেন। পাশাপাশি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষতি মোকাবিলার করার জন্য প্রকৌশল তৈরিও দাবিও জানান সরকারের কাছে।
মন্ত্রী আস্বাস দিয়েছেন, হোসিয়ারি শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য সরকার লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগামী দিনে সংগঠনের প্রস্তাবগুলিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে।
প্রসঙ্গত মন্ত্রী বলেন, 'যে রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার সেখানে এ ধরনের সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান হয়ে যাচ্ছে।' মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে রেলের জমিতে হোসিয়ারি পার্ক তৈরিরও পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পপতি রূপা গোষ্ঠীর কর্ণধার পদ্মশ্রী পিআর আগরওয়ালাকে সম্মান জানানো হয়। সংগঠনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে 'বুকস অফ ব্র্যান্ড' নামে বিভিন্ন হোশিয়ারি ব্র্যান্ডের ইতিহাস সম্বলিত একটি বই প্রকাশ করা হয়।