ভোট মিটলেও রাজ্যে হিংসা পরিস্থিতি অব্যাহত।দক্ষিণ কলকাতার আনন্দপুরের পশ্চিম চৌবাগায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।যদিও এলাকার মহিলা তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ওদের লোকই ভাঙচুর চালিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একবার ঘুরে গেলেও বিজেপি কর্মীর বাড়ির লোকেরা ভীত ও সন্ত্রস্ত।
জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী সুনীল রাম ভোটের আগে থেকেই বাড়িতে ফিরছিলেন না। ভোটের ফল ঘোষণার পরও তিনি বাড়িতে আসেননি।অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর বিজেপি কর্মীরা বাড়িতে ইটবৃষ্টি চালায়।ইট মেরে বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে দেয়।সুনীলবাবুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ, নাতি রয়েছেন।তাঁরা সকলেই এখন ভীত ও সন্ত্রস্ত।তাঁরা এতটাই ভয়ের মধ্যে রয়েছেন যে ঠিকভাবে কথা বলার উপায় তাঁর নেই।সুনীলবাবুর ছেলে দাবি, যখন হামলা চালানো হয়, তখন পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতেই তিনি ব্যস্ত ছিলেন।কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তা তিনি ঠিকভাবে খেয়াল করে দেখেননি।তাঁদের মনে হচ্ছে, তৃণমূলের ছেলেরাই এই হামলার পিছনে যুক্ত।
এদিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে নালিশ করতে এগিয়ে আসেন তৃণমূল মহিলা কর্মীরা।তৃণমূল মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা এই কাজ করতেই পারে না।একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, যে বিজেপি কর্মীর কথা বলা হচ্ছে, সেই বিজেপি কর্মী নিশ্চয়ই এমন কিছু কাজ করেছে যে তাঁকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।আসলে ওদের লোকেরাই এই কাজ করে তৃণমূলের ঘাড়ে দাষ চাপাচ্ছে।তৃণমূল মহিলা কর্মীদের দাবি, তৃণমূলই যে হামলা চালিয়েছে, তার কোনও প্রমাণ কী আছে।ওরা কী দেখেছে, তৃণমূল কর্মীরা করেছে।আগে ওরা সিপিএম পার্টি করত।সিপিএম পার্টিতে থেকে বিজেপিতে এসেও এরা অত্যাচার চালাত।এখন এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে।