বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > National Medical College Hospital: কন্যাসন্তান প্রসবের পর প্রসূতির দেহ উদ্ধার, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে রহস্যমৃত্যু

National Medical College Hospital: কন্যাসন্তান প্রসবের পর প্রসূতির দেহ উদ্ধার, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে রহস্যমৃত্যু

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ। ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

এই ঘটনার পর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে হঠাৎ রবিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান গৃহবধূ। হাসপাতালে ভিজিটিং আওয়ার্সে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। রবিবারই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ওই গৃহবধূকে খোঁজার জন্য কোন‌ও চেষ্টা করা হয়নি।

আজ, সোমবার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতির রহস্যমৃত্যু ঘিরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ নিখোঁজ হয়ে যান ওই প্রসূতি। তখন বেনিয়াপুকুর থানাতে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা। তারপর আজ, সোমবার সকালে প্রসূতি বিভাগের পিছন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে?‌ হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত প্রসূতির নাম আছিয়া বিবি। তিনি সন্দেশখালির বাসিন্দা এখানে ভর্তি হযেছিলেন। তাঁকে গত ২৬ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার পরের দিনই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু রবিবার হঠাৎ তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ, সোমবার সকালে প্রসূতির দেহ উদ্ধার হয় হাসপাতাল চত্বর থেকেই। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার।

দেহের অবস্থা কেমন ছিল?‌ এই প্রসূতির দেহ মিলেছে হাসপাতালের পিছন দিক থেকে। হাত পিছনে মোড়া করে বাঁধা, মাথার পিছনে গভীর ক্ষত। কান খুবলে গিয়েছে। আর উপুড় করে পড়ে ছিল দেহটা। কন্যা সন্তান প্রসবের পাঁচদিন পর প্রসূতির এমন পরিণতি দেখা গেল কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ঘটনাস্থলে আসছেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার ওসি। এই ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে।

পরিবারের ঠিক কী অভিযোগ?‌ এই ঘটনার পর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে হঠাৎ রবিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান গৃহবধূ। হাসপাতালে ভিজিটিং আওয়ার্সে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। রবিবারই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ওই গৃহবধূকে খোঁজার জন্য কোন‌ও চেষ্টা করা হয়নি। তাঁর হাত পিছনে মোড়া অবস্থায় বাঁধা ছিল। মাথা ফেটে গিয়েছে। কান, হাতের একাধিক জায়গায় মাংস খুবলে নেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। কুকুর, বিড়াল আঁচড়ে খেয়েছে। ওয়ার্ডেই রোগিণীকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

বন্ধ করুন