বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। মৃত গৃহবধূর নাম রিনা সাহা। কয়েকদিন ধরে ঘরের দরজা খুলছিলেন না তিনি। শনিবার রাতে গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে। কয়েকদিন ধরে তাঁকে বাইরে বেরতে দেখা যায়নি। আর তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তখনই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাটের দোতলায় থাকতেন রিনা সাহা। আর নীচের তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁর মা–বাবা। একসপ্তাহ আগে শ্বশুরবাড়িতে ঝগড়া হয় বলে অভিযোগ। নিজের বাড়িতে চলে আসেন ৪০ বছর বয়সের গৃহবধূ রিনা। মঙ্গলবার তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল। তার পর আর ঘর ছেড়ে বেরোননি। শুক্রবার আসেন তাঁর স্বামী রতন সাহা। বাড়ির বেল বাজিয়ে ডাকাডাকি করলেও সাড়াশব্দ মেলেনি রিনার। তখন চলে যান রতন। বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। তাই তিনি একা দিদির ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েই থাকছিলেন। বাবা–মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক খুব ভালো ছিল না তাঁর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটের বেল বাজিয়ে সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই খবর দেন গল্ফগ্রিন থানায়। রাত ১০টা নাগাদ দরজা ভেঙে ঢোকে পুলিশ। উদ্ধার হয় রিনা সাহার ঝুলন্ত দেহ। সেটা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই অনুমান পুলিশের। এই বিষয়ে রিনার স্বামী রতন সাহা জানান, তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা চলছিল। তবে মনোমালিন্য সামান্য ছিল। তা থেকে ডিভোর্সের একটি মামলাও করেছিলেন তিনি।