পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ক্ষমতার শীর্ষে থাকা মানুষটাই আজ প্রেসিডেন্সি জেলের অন্তরালে। বিস্কুট, লিকার চা, রুটি, আলু ভাজা, ভাত, ডাল, সবজি, রুই মাছের ঝোল এইসব খেয়েই দিন কাটছে মন্ত্রীর।
সূত্রের খবর, একবার ফলও খেতে চেয়েছিলেন তিনি। অনেকের মতে, বিগত দিনে নাকি দামি দামি ফল যেত পার্থর বাড়িতে। সেই অভ্যাসের বশেই হয়তো ফল চেয়ে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেসব শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। তবে সংশোধনাগারে বসে প্রাক্তন মন্ত্রীর বিড় বিড় করা এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই বিড় বিড় বিষয়টা ঠিক কী?
একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র সূত্রে খবর, সেলে বসেই বিড় বিড় করছিলেন পার্থ। সেটাও আবার চোখ বুজে। এটা দেখে আর সময় নষ্ট করেননি কারারক্ষী। দ্রুত প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করেন তিনি। আর সূত্রের খবর তার উত্তরে পার্থ বলেন, ঠিক আছি, মায়ের কথা স্মরণ করছিলাম। অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি পান কারা কর্তৃপক্ষ। কার্যত সেলের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে চোখে চোখে রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে সাধারণ বন্দিদের মতোই থাকতে চান তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। বাড়তি কোনও সুবিধা তিনি নিতে চাননি বলে খবর।
তবে সূত্রের খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাঝেমধ্যে ম্যাগাজিনের পাতা ওলটাচ্ছেন। সংবাদপত্র একেবারেই নয়। তবে বই, সংবাদপত্র কোনও কিছুই দেখতে চান না অর্পিতা।
অন্যদিকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে বন্দি পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর কারা কর্মীদের কাছে মায়ের ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন তিনি। তবে জেলের কোনও খাবারই মুখে রুচছে না অর্পিতার। দুপুরে চিকেন স্যুপ খাওয়ার আব্দার করেছিলেন অর্পিতা। কিন্তু বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আর সংশোধনাগারের ওয়ার্ড দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক। অগত্যা অর্পিতার সেই আব্দার মেটেনি বলেই খবর।