কয়েকদিন পরে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। সেখানে ভিনরাজ্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উদ্যোগপতিদেরও আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে এসবের মধ্যেই কতগুলি কোম্পানি বাংলা থেকে অফিস সরিয়েছে সেই সংক্রান্ত একটি বিস্ফোরক তথ্য় সামনে এসেছে। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এই জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী হর্ষ মালহোত্রা।
শমীক ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেছিলেন ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্য়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কতগুলি কোম্পানি তাদের রেজিস্টার্ড অফিস ভিনরাজ্যে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে? ২) কোম্পানির সংখ্য়াও তিনি জানতে চেয়েছিলেন যারা স্টক এক্সচেঞ্জ বা সেক্টরে নথিভুক্ত রয়েছে।
৩) সেই সঙ্গেই তিনি জানতে চেয়েছিলেন এই কোম্পানিগুলি কেন সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার কোনও কারণ কি জানা গিয়েছে? সেই কারণগুলি কী কী ! তাদের কি কোনও অসুবিধা হচ্ছিল? সরকার তাদের এই জায়গায় রাখার জন্য় কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে সব মিলিয়ে ২২২৭ কোম্পানি বাংলা থেকে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস সরিয়ে ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছে। ২০১৯-২০২৪ সালের মধ্যে এটা হয়েছে।
তার মধ্য়ে ৩৯টি কোম্পানি হল নথিভুক্ত কোম্পানি। তারা জিনিসপত্র উৎপাদন করা, আর্থিক সংক্রান্ত বিষয়কে দেখা, কমিশন এজেন্ট, ট্রেডিংয়ের কাজ করত এখানে।
যে কারণে তারা চলে গিয়েছে তার অন্যতম হল প্রশাসনিক, কাজ চালানো, ব্যয় সাশ্রয়, ভালো করে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহ একাধিক কারণ রয়েছে।
তবে এভাবে একাধিক সংস্থার বাংলা থেকে চলে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে। এদিকে একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুর থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গিয়েছিল টাটারা। তবে তারপর বাংলার মসনদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর জমানায় কতগুলি কোম্পানি বাংলা থেকে চলে গিয়েছে তা নিয়ে এবার নির্দিষ্ট সংখ্যা সামনে এল।
সম্প্রতি আলিপুরের সৌজন্য গৃহে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের একেবারে শীর্ষস্তরের শিল্পপতিরা হাজির ছিলেন। সেই সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বিদেশ থেকে আসা শিল্পোদ্যোগীদের কীভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিন।
কলকাতায় থাকা একাধিক দূতাবাসের কনসালরাও হাজির ছিলেন এই প্রস্তুতি বৈঠকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রস্তুতি সম্মেলনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন সৌজন্য প্রেক্ষাগৃহে আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন। ন্যাশানাল চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। কলকাতায় থাকা একাধিক দেশের কূটনীতিকরাও হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। ২০২৫ সালের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেজ সামিট অনুষ্ঠিত হবে। তারই প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা ও সাংস্কৃতিক জগতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।