দিল্লি ভোটে আপ ধরাশায়ী হওয়ার পরে এবার বাংলাকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান তো বাংলাতে এসে বলেই দিয়েছেন ২০২৬ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
এবার আমাদের জন্য বাকি থাকল বাংলা। লক্ষ্য এবার বাংলা। এবার বাংলা। ২০২৬ শুধু বাংলার নেতৃত্ব নন, বাংলার বাইরে যারা বাঙালি আছেন তারাও ঝাঁপিয়ে পড়বেন বাংলা জয়ের জন্য। জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
কী জানিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান?
‘২০১৯ সাল থেকে বাংলায় বিজেপির ভোট বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। যদি দল আর ১০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে যাবে।’ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১২ সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সাল থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট বেড়েছে। আর ১০ শতাংশ ভোটের প্রয়োজন ক্ষমতায় আসার জন্য। ২০২৬ সালে বাংলায় আমরা ক্ষমতায় আসব।’
তবে এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার সেই দাবির জবাব দিলেন তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি জানিয়েছেন, 'বাংলায় ২০২৬এ বিজেপির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। বিজেপি ৩০টি আসনও পাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমর্থন কমেনি বরং দিনের পর দিন এই সমর্থন বেড়েছে। '
অন্য়দিকে তৃণমূলের অপর এমপি সৌগত রায় জানিয়েছেন, দিবা স্বপ্ন দেখছেন। দিল্লি দিল্লির মতো। পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গের মতো। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে আমরা বিপুল ভোটে জিতব। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই রয়েছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাখির চোখ ২০২৬ সাল। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের কাছেই মর্যাদা রক্ষার লড়াই। অনেকের মতে, এবার বিজেপির কাছে বড় লড়াই। একাধিক জেলায় নড়বড়ে সংগঠন নিয়ে বিজেপি শেষ পর্যন্ত কতটা লড়তে পারবে তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি সত্ত্বেও একাধিক প্রকল্পের জেরে দ্রুত মানুষের মন জয় করে ফেলেছে তৃণমূল। এটাই তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত ভালো ইঙ্গিত।