দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এক স্কুল শিক্ষক। তিনি আরটিআই করেছিলেন। সেখানে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, স্কুলগুলিতে কত শূন্যপদ রয়েছে। অনিমেষ হালদার নামে ওই স্কুল শিক্ষক একটি শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত ব্যাপারে তাঁর কাছে মাঝেমধ্যেই নানা নালিশ আসে। সেকারণেই তিনি আরটিআই করেছিলেন। কিন্তু তাতে তাঁর কাছে যে তথ্য় আসে তা চমকে দেওয়ার মতো।
আসলে বিকাশ ভবন জানাতেই পারেনি কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে। অবাক করার মতোই ঘটনা। এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, আবেদনটি করা হয়েছিল শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি তথা এসপিআইওর কাছে। তিনি চিঠি পাঠান স্কুল শিক্ষা কমিশনারের এসপিআইওর কাছে। সেখান থেকে চিঠি যায় গ্রান্ট ইন এইড সেকশনে। সেখান থেকে জানানো হয়, এরকম হাতের কাছে প্রস্তুত নেই।
তবে মূলত যেটা বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে শূন্য়পদের সংখ্য়া যেহেতু মাঝেমধ্যেই পরিবর্তন হচ্ছে। সেকারণেই একেবারে সঠিক তথ্য় দেওয়া যায় না। তাছাড়়া ভুল তথ্য দেওয়া হলে তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, কোথাও যদি নিয়োগ হয়ে থাকে সেটাও তো আপডেট থাকবে। সেক্ষেত্রে কত শূন্যপদ তা নিয়ে শিক্ষাদফতরের কাছে তথ্য না থাকার বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের।
তাছাড়া এই শূন্য়পদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কিন্তু শিক্ষা দফতরই যদি এই তথ্য জানাতে না পারে তবে পারবে টা কে? এই আরটিআই ফের শিক্ষাদফতরকে কার্যত আয়নার সামনে দাঁড় করিয়েছে। শিক্ষাদফতরের পলিসির একটা বড় অংশ তো এই শূন্যপদের উপর নির্ভর করছে। সেক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত কত শূন্যপদ সেটাই যদি না দিতে পারে সরকার তাহলে প্রশ্ন তো উঠবেই।
এবার প্রশ্ন সরকারের কাছে তথ্য় নেই নাকি সরকার সেই তথ্য চেপে যেতে চাইছে? কারণ একাধিক সংবেদনশীল ক্ষেত্রে সরকার তথ্য় চেপে যেতে চায়। এক্ষেত্রেও সরকার যদি তথ্য় চেপে যায় তবে তার ফল তো সাধারণ শিক্ষকদের ভুগতে হবে।
এদিকে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নানা সময়ে নানা মামলা হয়েছে। এক্ষেত্রে মামলার জেরে নিয়োগ থমকেও গিয়েছে। সেই নিরিখে বার বারই প্রশ্ন উঠেছে ঠিক কত শূন্য়পদ রয়েছে স্কুলগুলিতে? তবে এবার আরটিআইয়ের জবাবেও শূন্যপদের কথা জানাতে পারল না স্কুল শিক্ষা দফতর।