১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনায় কেন্দ্রের কাছে প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। অতীতে বার বার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আন্দোলন থেকে শুরু করে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। তারপরেও বকেয়া মেটানো হয়নি বলেই অভিযোগ। আগামী সপ্তাহে দিল্লি সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তিনি আবারও বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের আগে প্রমাণসহ প্রতিটি দফতরের কাছে বকেয়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল অর্থ দফতর। আর্থিক বছরগুলিতে প্রকল্প ধরে ধরে বকেয়ার তথ্য নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, একুশের সভায় নতুন কী মিলবে?
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে আর্থিক বছরগুলিতে কত বকেয়া রয়েছে? বরাদ্দের পরিমাণ কত? কত বরাদ্দ আসেনি? পরের আর্থিক বছরে আসা বরাদ্দার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আছে কিনা সে সমস্ত বিষয়ে তথ্য নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। যদিও এই প্রথমবার নয়, অতীতে রাজ্য সরকার একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে বকেয়া আদায়ের জন্য তথ্য জমা দিয়েছিল। তবে ধরন বদলানো হয়েছে। সূত্রের খবর দিল্লিতে আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এছড়াও সেখানে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। সেখানেও আলাদাভাবে এনিয়ে জানানো হতে পারে। তাই দ্রুততার সঙ্গে বকেয়ার সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই রিপোর্ট তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও নীতি আয়োগের বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রকের মন্ত্রীরা থাকবেন। সেখানেও নির্দিষ্ট মন্ত্রকের হাতে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হতে পারে। নবান্নের তরফে প্রতিটি দফতরকে বকেয়ার যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে তাতে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সই থাকতে হবে। সমস্ত দফতর থেকে অর্থ দফতরে রিপোর্টে যাওয়ার পর নবান্ন পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করবে নবান্ন। সেই রিপোর্টটি কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি বকেয়া রয়েছে গ্রামোন্নয়নে। ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বরাদ্দ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনাতেও বকেয়া বন্ধ রয়েছে। এবার গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হতে পারে। এদিকে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে বরাদ্দ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি বরাদ্দ ছেড়েছে কেন্দ্র। গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রেও বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশা রাজ্যের।