গত কালই রাজ্য বাজেটে অতি গরিব পরিবারগুলিকে ৩ মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুত্ বিনামূল্যে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিন মাসে একত্রে যারা ৭৫ ইউনিট বা তার কম বিদ্যুত্ ব্যবহার করবেন তারাই পাবেন এই ছাড়। কিন্তু হিসাব করে দেখা যাচ্ছে একটা সিলিং ফ্যানও সারাদিন চালিয়ে রাখলে বিদ্যুত খরচ ৭৫ ইউনিটের ঢের বেশি। তাই প্রশ্ন উঠছে, বিদ্যুতে ছাড় ঘোষণায় রাজ্য সরকারের আসল মতলবটা কী? আর যাঁরা ছাড় পাবেন, তাদেরই বা কত টাকা করে ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার।
রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন নিগমের এলাকায় প্রতি তিন মাসে বিল পাঠায় সংস্থা। ফলে সেখানে সরকারের বাজেট ঘোষণা মতো হিসাব করা সহজ। CESE প্রতি মাসে গ্রাহককে বিল পাঠায়। ফলে সেখানে ৩ মাসে ৭৫ ইউনিটের হিসাব কী করে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন নিগমের ট্যারিফ লিস্ট অনুসারে প্রথম ১০২ ইউনিট বিদ্যুত্ ব্যবহারের জন্য ইউনিট পিছু দিতে হয় ৫.৩০ টাকা। সেই হিসাব মতো ৭৫ ইউনিট বিদ্যুতের দাম হয় ৩৯৭.৫ টাকা। অর্থাত্ আপনি পুরো ৭৫ ইউনিট বিদ্যুত্ ব্যবহার করলে সরকার ৩৯৭.৫ টাকার পুরোটাই ভর্তুকি দেবে। মাসে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৩২.৫ টাকা।
দেশে বিদ্যুতের দাম সব থেকে বেশি যে রাজ্যগুলিতে, তার অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে CESE ও রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন নিগম। যার ফলে গরিব মানুষের বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে। ভোটের আগে শেষ বাজেটে রাজ্য বাজেটে বিদ্যুতের দামে যে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে তা কেবলমাত্র নির্বাচনী জনসভায় গালভরা ভাষণ দেওয়ার জন্যই, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।