ফের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল নিয়ে মামলা হল আদালত। মামলাকারী প্রশ্ন তুলেছেন, প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রশ্নপত্রে ভুল করে কীকরে। মামলাটি হাইকোর্টে গৃহীত হয়েছে। আগামী ২২ জুলাই মামলাটি শুনানি হতে পারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষা টেট–এ বিভিন্ন বিষয়ের আটটি প্রশ্ন ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ আদালতে মামলা দায়ের করেন রাজু গাজি নামে এক ব্যক্তি। আদালতের কাছে মামলাকারীর অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মামলাকারীর তরফে আইনজীবী আদালতের কাছে আবেদন করেন, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার ১৫০টি প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হোক। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘পর পর তিনটি টেট পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল রয়েছে। আমরা তদন্তের কথা বলছি।’
এর আগেও ২০১৫ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল ধরা পড়েছিল। নম্বর বাড়ানো নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ২৭৮৭টি। এর মধ্যে ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাও ছিলেন। তাঁদেরকে বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল। কেন সবাই ওই বাড়তি নম্বর পাবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর আগে ২০১৪ সালের টেটে দুর্নীতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলাকারীর তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, পরীক্ষায় পাশ না করেও হুগলির এক বাসিন্দা ২০১৭ সাল থেকে চাকরি করছেন।