আজ, বুধবার কর্মব্যস্ত দিনে নাকাল হতে হল ট্রেন যাত্রীদের। অফিসের জন্য দৌড়ে ট্রেন ধরেছেন প্রচুর মানুষ। সকলের ভরসা লোকাল ট্রেন। কিন্তু হাওড়া স্টেশনে আজ দেখা দিল বিপত্তি। ট্রেনের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক লোকাল ট্রেন। প্রায় ৪৫ মিনিট পর স্বাভাবিকের পথে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এই লোকাল ট্রেন কারশেডে যাওয়ার পথে ব্রেক খারাপ হয়ে যায়। তখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হাওড়া স্টেশনের চারটি প্ল্যাটফর্ম। একঘণ্টার চেষ্টায় ট্রেনটিকে সরানো হয়েছে। তবে নাকাল হতে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন যাত্রীরা।
এদিকে রেল সূত্রে খবর, আজ সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল লোকাল ট্রেন। বর্ধমান থেকে হাওড়া ঢোকার মুখে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়। তারপর সেটিকে কারশেডে নিয়ে যেতে গেলে ব্রেক খারাপ হয়ে যায়। সুতরাং লোকাল ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আর তার জেরে একের পর এক লোকাল দাঁড়িয়ে পড়ে। হাওড়া স্টেশনের তিন, চার এবং পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনগুলি। এভাবে কর্মব্যস্ত দিনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় খানিকটা বিরক্ত হন যাত্রীরা। যাত্রীদের বক্তব্য, রেলের পক্ষ থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা একেবারেই নয়। বহু ট্রেন হাওড়ার আগে দাঁড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই হাসপাতালে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ
অন্যদিকে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন ধরে যাত্রীরা হাঁটা শুরু করেন গন্তব্যের দিকে। এই বিষয়ে পূর্ব রেল সূত্রে খবর, হাওড়া স্টেশনে ঢোকার সময় একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়। সেটিকে কারশেডে আনতে গেলে ব্রেক বিকল হয়ে পড়ে। এমন সমস্যা দেখা দিলে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তার ইঞ্জিন বদলানোর কাজ চলছে। যার জেরেই দীর্ঘক্ষণ যাত্রী ভোগান্তি দেখা দেয়। চন্দননগরের বাসিন্দা শুভজিৎ ঘোষ বলেন, ‘১১টা ৪৫ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ট্রেন দাঁড়িয়েছিল হাওড়ায়। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।’
এছাড়া রেলের একটি সূত্রে প্রাপ্ত খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হাওড়া ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে কারশেডের দিকে যাওয়ার পথে ওই ট্রেনের ব্রেক বিকল হয়ে যায়। তাই সমস্যা দেখা যায়। তখন থেকেই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। যার ফলে অন্যান্য লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় হাওড়ার স্টেশনের ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ট্রেনটি ওখান থেকে সরানো হয়। এই লোকাল ট্রেন বিভ্রাটের জেরে অন্য আরও কয়েকটি লোকাল ট্রেন গড়ে ১৫ মিনিট দেরিতে চলেছে। কিন্তু যাত্রীরা অবশ্য এই ট্রেন চলাচলের কথা স্বীকার করছেন না।