১৮৫৪ সাল। হাওড়া থেকে হুগলি যাত্রা শুরু করেছিল ট্রেন। হাওড়া স্টেশনের পথচলা শুরু বলা যায়। আর আজ গোটা দেশের মধ্যে সর্বাধিক ২৩টি প্ল্যাটফর্ম আছে এই হাওড়া স্টেশনে। অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন এই হাওড়া। এবার এই হাওড়া স্টেশনে আরও বেশি সংখ্যক মেল এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে রেল। তাই তার পরিকাঠামো তৈরি করতে ব্যস্ত এখন। একদিকে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ অপরদিকে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ যাত্রীদের উপকার হবে। আর হাওড়া স্টেশনে নতুন পালক যুক্ত হবে।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ১৮৫৪ সালের ১৫ অগস্ট থেকে এই লাইনে ট্রেন চলা শুরু হয়। ওইদিন ট্রেনটি হুগলির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। মাঝে পড়েছিল তিনটি স্টেশন—বালি, শ্রীরামপুর এবং চন্দননগর। হাওড়া স্টেশনের ১ থেকে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম আছে ওল্ড কমপ্লেক্সে এবং ১৭ থেকে ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম আছে নিউ কমপ্লেক্সে। এবার এখানে ১৫ এবং ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ করার কাজ শুরু হয়েছে। এই বছরই প্ল্যাটফর্ম দুটির সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই হাওড়া স্টেশনে নীরবে সেই কাজ হয়ে চলেছে। তাতে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা কমবে তেমন যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।
আরও পড়ুন: পাঁচজনকে নিয়ে কীভাবে শুরু হতে পারে সফর? বিড়লাকে জেপিসি নিয়ে পত্রাঘাত কল্যাণের
আবার এই হাওড়া স্টেশনেই তৈরি হচ্ছে নতুন ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। আগে এই প্ল্যাটফর্ম ছিল না। এটা ২০২৫ সালের মার্চ মাস নাগাদ শেষ হওয়ার কথা। এটাই নতুন পালক যা যোগ হবে হাওড়া স্টেশনে। ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের জায়গাকে ‘জিরো মাইল’ বলা হয়। কারণ এই জায়গা থেকে শুধু পণ্য পরিবহণ করা হয়। এখানে কোনও লোকাল বা দূরপাল্লার ট্রেন ঢোকে না। শুধু জিনিসপত্র ওঠানামা করানো হয়। এখন ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ হলে সেখানে ট্রেন বেশি পরিমাণে ঢুকতে পারবে। সুতরাং যাত্রী সাধারণের অনেকটা উপকার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাছাড়া হাওড়া স্টেশনের ইতিহাস বলছে, ১৯০৫ সালে হাওড়া স্টেশনে নতুন ৬টা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছিল। সুতরাং সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৭টা। আর ১৯৮৪ সালে ১৫টি। ১৯৯২ সালে নতুন টার্মিনাল তৈরি হয় হাওড়া স্টেশনের। তারপর ২০০৯ সালে হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৩টি। এবার হবে ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে হাওড়া স্টেশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘সম্প্রসারিত ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মেল–এক্সপ্রেস ছাড়তে পারবে। তাতে অন্য স্টেশনগুলির উপর থেকে চাপ কমবে। ১৬ নম্বর স্টেশনটি যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য নয়। আর ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম তৈরি হলে বাড়তি আরও সুবিধা হবে। চাপ কমবে অনেকটাই।’