‘মুসলিম’ কন্যা বিতর্কে অবশেষে মুখ খুললেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। দাবি করলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের ‘প্রথম’ প্রার্থীর বিবরণ ঘোষণার সময় তাঁর বেগম রোকেয়ার কথা মনে গিয়েছিল। তাই আবেগের বশে রুমানা সুলতানাকে ‘মুসলিম’ কন্যা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
শুক্রবার শিক্ষা সংসদেই তিনি বলেন, ‘সংসদের ইতিহাসে এই প্রথম এত ভালো রেজাল্ট হয়েছে। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন। ওকে নিয়ে কথা সময় বেগম রোকেয়ার কথা মনে পড়ছিল। তিনি একইরকমভাবে পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। সকলের মধ্যে থেকে একইরকমভাবে উঠে এসেছিলেন। তাই আবেগের বশে (সংখ্যালঘু) বলে ফেলেছিলাম।' সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘সকলের সঙ্গে মেয়েটির গৌরব ভাগ করে নিতে চেয়েছিল সংসদ।’
বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়। তাতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা না হলেও ‘প্রথম’ পরীক্ষার্থীর বিবরণ দিয়েছিলেন শিক্ষা সংসদের সভাপতি। সেখানে রুমানাকে ‘মুসলিম’ কন্যা হিসেবে উল্লেখ করেন। তা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়। নেটমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনদের একাংশ। ধর্মের ভিত্তিতে কেন পড়ুয়াদের চিহ্নিত করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুরো বিষয়টিতে অচিরেই রাজনৈতিক রং লেগে যায়। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, তৃণমূল কংগ্রেস ‘তোষণ নীতির’ কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকের ‘প্রথম’ হওয়া পরীক্ষার্থীকে ‘মুসলিম’ কন্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন সংসদ সভাপতি। সমাজকর্মীদের একাংশও বলতে থাকেন, পড়ুয়া তো পড়ুয়াই থাকেন। সে তিনি যে ধর্মেরই হোক না কেন। তৃণমূলের তরফেও নিন্দা করা হয়। যদিও ‘মুসলিম’ কন্যা মন্তব্যে আবার খারাপ কিছু দেখছেন না একাংশ। সেইসবের মধ্যেই শুক্রবার কার্যত নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেন সংসদ সভাপতি।