টাকার গাড়ি দেখতে রাত ১১টাতেও গার্ডেনরিচে উপচে উঠল ভিড়। টাকার গাড়ির পেছনে ছুটতে শুরু করলেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের একটাই দাবি সারাদিন কাজ করেও ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারি না। এত টাকা এল কোথা থেকে?
এদিন রাতে একে একে নাসের খানের গার্ডেররিচের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। টাকা ভর্তি বাক্সগুলিকে তোলা হয় ট্রাকে। ট্রাঙ্কগুলি এতটাই ভারী হয়ে যায় যে মাটিতে টানতে টানতে তা ট্রাকের কাছে নিয়ে আসা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় সেই ট্রাককে রাস্তায় বের করা হয়।
চারপাশে মানুষের ভিড়। কার্যত যেন মেলা বসে গিয়েছে গার্ডেনরিচে। অনেকেই একবার দেখতে চান এই বিপুল টাকা। ইডি সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ১৪ ঘণ্টা পর ওই বাড়ি থেকে বের হলেন ইডির আধিকারিকরা।
এদিকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা এলাকায় এই টাকার পাহাড় উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী থানা থেকে কাছেই এভাবে ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের তলা থেকে এত টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। তবে কি শুধুই অনলাইন গেমের প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত এই টাকা? নাকি এর উৎস অন্য কোথাও? গভীর রাতে ঘুম চোখে সেই প্রশ্নটাই ঘুরল গার্ডেনরিচের গলিতে, তস্য গলিতে। এদিকে ফোন বন্ধ করে উধাও হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।