বেকবাগানের বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে থানায় চুরির অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বুধবার। এই অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নামে পুলিশ। আর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সোমবার ব্যাঙ্ক বন্ধ করার মুখে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। মাথায় হেলমেট এবং মুখে মাস্ক পড়ে ঢুকেছিল। নিরাপদ স্থান হিসাবে সে বেছে নেয় ব্যাঙ্কের শৌচাগার। সোমবার বিকেলে ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ার পর রাত ১১টা পর্যন্ত শৌচাগারেই থাকে অভিযুক্ত।
ঠিক কী ঘটেছে ব্যাঙ্কে? এই ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি বন্ধ ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে রাতের অন্ধকারে সোজা চলে যায় ভল্টের কাছে। তারপর অভিযুক্ত ব্যক্তি ভল্টের সামনে থাকা সিসি ক্যামেরায় ঢাকা দেয় কালো কাপড়। এরপর নিদিষ্ট জায়গা থেকে দেড় কেজি সোনা বের করে নেয় অভিযুক্ত।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, ভল্ট ভাঙার জন্য কাটার ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সোনা চুরি করে ফের শৌচাগারের মধ্যেই আশ্রয় নেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। মঙ্গলবার সকালে রোজের মতো ব্যাঙ্ক খোলার পরেই শৌচাগার থেকে ১০ মিনিট পরে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত। বুধবার সোনার প্রয়োজন হয় ব্যাঙ্কের কর্মীর। তখন তিনি ভল্টের কাছে যেতেই দেখা যায় আড়াই কেজি সোনা গায়েব।
তারপর ঠিক কী ঘটল? পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর সিসিটিভি ক্যামেরার বিশ্লেষণ করেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ তদন্তে নেমে বেশকিছু ব্যক্তিকে সন্দেহ করছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মী ও ব্যাঙ্কের ভল্টের দায়িত্বে থাকা কর্মীর সঙ্গেও কথা বলছেন কড়েয়া থানার পুলিশ।