ফের কলকাতায় টাকার পাহাড়। নিউ টাউনে কলসেন্টারে হানা দিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে পুলিশ। তবে শুধু নগদ টাকাই নয় অন্তত চারটি দামি গাড়ি, একাধি মূল্যবান ঘড়ি, টাকা গোণার মেশিন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা মিলেছে। আরও তল্লাশি চলছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ৮-১০টি কলসেন্টার চালানো হত। বেশিরভাগ সেন্টার থেকেই ফোন করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। এরপর সেখান থেকে ব্ল্যাকমেলিং করে মোটা টাকা আদায় করা হত। নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ প্রাথমিকভাবে কিছু ইঙ্গিত পেয়েছিল। এরপর পুলিশ নিউ টাউন এলাকায় তল্লাশি চালায়। সেখানেই পুলিশ বিপুল টাকার সন্ধান পায়। একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধানও পেয়েছে পুলিশ।
কীভাবে এত টাকা ওই কলসেন্টারে জড়ো হল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা প্রতারণার মাধ্য়মে এই টাকা আদায় করা হয়েছিল। সেটাই জমা করা হয়েছিল। তবে এই সেন্টারগুলি কতদিন ধরে চলছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এর আগেও নিউ টাউন, সেক্টর ফাইভ এলাকায় একাধিক কলসেন্টারে হানা দিয়েছিল পুলিশ। তখনও সন্দেহজনক নানা নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। এরপর পুলিশ গোপন সূত্রে বিভিন্ন জায়গা খোঁজখবর করা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ নিউ টাউনের কলসেন্টার থেকে বিপুল টাকার সন্ধান পেল।
এদিকে এর আগে এসএসসি কেলেঙ্কারিতে তল্লাশিতে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। সেই বিপুল টাকা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। সেবার একেবারে থরে থরে টাকা বেরিয়ে আসে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। অভিযোগ ওঠে এগুলি সবই চাকরি চুরির টাকা। তবে তারপর থেকে কলকাতায় একের পর এক তল্লাশিতে উঠে আসছে বিপুল টাকা।
প্রশ্ন উঠছে তবে কি কালো টাকা লুকিয়ে রাখার আদর্শ জায়গা হিসাবে কলকাতাকে বেছে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা? কলকাতাকে নিরাপদ জায়গা হিসাবে বেছে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা? সেই প্রশ্নটাও উঠছে।
এদিকে নিউ টাউনের ওই কলসেন্টারের সঙ্গে আর কারা যুক্ত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup