ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে দুই যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। দু’জনের হাতে দুটো স্যুটকেস। নিজদের মধ্যে টুকটাক কথা বলতে দেখা গেলেও কারও জন্য যেন অপেক্ষা করছে বোঝা যাচ্ছে। আবার মোবাইলে কি যেন মিলিয়ে নিচ্ছিল। মুখে টেনশনের ছাপ। এই দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। কোথায় যাবে তোমরা? জিজ্ঞাসা করতেই ঘাবড়ে গেল দু’জন। তখনই দুটো স্যুটকেস টেনে নিয়ে খোলে পুলিশ। খুলতেই দুটো স্যুটকেসে থরে থরে সাজানো কচ্ছপ।
ঠিক কী ঘটেছে ধর্মতলায়? পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ভারত থেকে কচ্ছপগুলি কলকাতায় আনা হয়েছিল। ওই কচ্ছপগুলি এখানে কাউকে বিক্রি করার ছক ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। বিদেশে পাচার করার উদ্দেশে কলকাতাকে সেফ করিডর করেছিল তারা। দক্ষিণ ভারত থেকে কচ্ছপ কলকাতায় কারও হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
তারপর ঠিক কী ঘটল? জানা গিয়েছে, এই দুই যুবক বেশ কয়েকদিন ধরে এত কচ্ছপ জোগাড় করেছিল। এই চক্রে আর কেউ আছে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া ৫০০টির বেশি কচ্ছপ রাখা হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। এখন এই দু’জনকে জেরা করে মূল পাণ্ডার নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ। তামিলনাড়ু থেকে এখানে কেমন করে কচ্ছপ নিয়ে এল তাও জানতে চাইছে পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, কচ্ছপগুলি কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর ছক ছিল। এই কাজের জন্য বিরাট টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যেও পাচারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সম্প্রতি কলকাতায় কচ্ছপ পাচারের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা নিয়েও খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।