কয়েকদিন আগের ঘটনা। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১১টা। লাইভ ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল নিউটাউন থানা ও বেলেঘাটা থানার পুলিশ কর্মীরা শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ির সামনে রয়েছেন। বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের বিষপানের ঘটনায় তিনি প্ররোচিত করেছেন এই অভিযোগ তুলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছিল বলে মইদুলের দাবি। এনিয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছিল গ্রেফতারি করতে নয়, নোটিস দিতে সেই রাতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। এদিকে এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনের নালিশ জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষক নেতা। এদিকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
তবে মইদুল ইসলামের দাবি, ঘটনার সময় প্রায় সারা রাত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। এর সঙ্গেই মইলুদের দাবি, মাননীয় অ্য়াডভোকেট জেনারেল মহাশয় আদালতে জানিয়েছেন পুলিশ গ্রেফতার করতে আসেনি। অথচ বাংলার মানুষ দেখেছেন ২০০ পুলিশ নিয়ে কীভাবে রাত ১১টা থেকে প্রায় ১৪ ঘণ্টা কীভাবে দুর্গের মতো আমার বাড়ি ঘিরে রেখেছিল। কীভাবে লাথি মেরেছে, দরজা ভাঙার উপক্রম করেছে, আমাকে, আমার শ্বশুরকে হুমকি দিয়েছে। অথচ অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছেন নোটিস দিতে গিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক নেতা জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই সব কথা রাজভবনে জানানো হয়েছে। এরপর আন্দোলন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিবের কাছে জানতে চান রাজ্যপাল। অন্যদিকে ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও ওই শিক্ষক নেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে সূত্রের খবর।