নিজেদের ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। বাংলাদেশ থেকে কয়েকশো কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন শাখার অভিযোগের ভিত্তিতে এই রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, রাজারহাট, নিউটাউন, দমদম, দক্ষিণ দিনাজপুরের পোলেরহাট, অশোকনগর-সহ একাধিক জায়গায় ইডি অফিসাররা তল্লাশি চালায়। সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান করে ইডি। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। বাংলাদেশি ব্যাঙ্ক থেকে কয়েকশো কোটি ঋণ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে সাতসকালে হানা দিলেন ইডি-র আধিকারিকরা৷
এদিন অশোকনগরের তিনজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷ এক ব্যবসায়ীকে আটকও করেছেন তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, অশোকনগর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতী ক্লাব এলাকার বাসিন্দা সুকুমার মৃধা নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় ইডি৷
সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো সংস্থা খুলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে কমবেশি ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেন৷ সেই ঋণ শোধ না করে হাওয়ালার মাধ্যমে ঋণের টাকা ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতে তদন্তে নামে বাংলাদেশের আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত অপরাধের তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ৷ তাঁরে মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার মারফত বিষয়টি ভারতে ইডি-র গোচরে আনা হয়৷ এরপরেই তদন্তে নামেন ইডি-র আধিকারিকরা৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশান্ত কুমার হালদার নামে এক ব্যক্তি শিবশঙ্কর হালদার নাম নিয়ে ভারতীয় নাগরিক পরিচয় দিয়ে একদিকে যেমন রেশন কার্ড করিয়ে নিয়েছেন, তেমনই ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও করিয়ে নিয়েছেন। প্রশান্ত ছাড়াও প্রতীশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। ইডির আধিকারিকরা হানা দেন শহরের নির্মাণ সংস্থা অভিজাত কনস্ট্রাকশন কোম্পানির দফতরে। সংস্থার ডিরেক্টর অভিজিৎ সেনের বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা।