‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট মিথ্যে কথা বলেছেন’ কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। এমনই দাবি করলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) বাবা। তিনি জানিয়েছেন, সোমবার আরজি করের সেমিনার রুমের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) যে কথা বলেছিলেন, সেটা ‘একদম বাজে কথা’। কলকাতা পুলিশের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক দাবি করেছিলেন, যেখানে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই জায়গাটা প্রাথমিকভাবে সাদা কাপড় দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা এবং মা।
‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট মিথ্যে কথা বলেছেন’ পুলিশ অফিসার
কলকাতা পুলিশের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দে তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় যে কথাগুলো বলেছেন, (সেটা) হান্ড্রেড পার্সেন্ট মিথ্যে কথা বলেছেন। উনি বিষয়টা কোথা থেকে জেনে বললেন, (সেটা জানি না)। উনি তো ভিতরেও ছিলেন না। উনি মিথ্যা কথা বলছেন। বারবারই বলছি।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু ঘেরা ছিল না। একদম বাজে কথা।’
'বলা হয়েছিল যে ওঁরা ফরেন্সিক বিভাগের লোক'
সেইসঙ্গে তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা দাবি করেছেন, মেয়ের দেহও তাঁদের দেখতে দেওয়া হয়নি। সেমিনার হলের মধ্যে যে লোকজনদের দেখা গিয়েছিল, তাঁরা আদতে ফরেন্সিক বিভাগের সদস্য বলে জানানো হয়েছিল। তরুণী চিকিৎসকের মা দাবি করেছেন, সেই অজুহাতে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে মেয়ের দেহও দেখতে দেওয়া হয়নি।
‘একটু ভিতরে যেতে দিন, আমরা ছুঁয়েও দেখব না মেয়েকে’
তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছিলাম যে ভিতরে অনেক লোকজন (আছেন)। আমাদের বলেছিল যে ওঁরা ফরেন্সিক বিভাগের লোকজন। ভিতরে যাওয়া যাবে না। আমি তখন খুব কাঁদছিলাম। বলছিলাম যে আমাদের একটু ভিতরে যেতে দিন। আমরা ছুঁয়েও দেখব না। একটু পাশ থেকে দেখব। তাও যেতে দেয়নি।’
‘ক্রাইম সিন’-এ কোনও বহিরাগত ছিল না, দাবি পুলিশের
সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছিল যে ‘ক্রাইম সিন’-এ গিজগিজ করছেন অসংখ্য বহিরাগত। যদিও কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) দাবি করেছিলেন, ‘ক্রাইম সিন’-এ কোনও বহিরাগতকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যেখানে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখান থেকে ৪০ ফুটের অংশ পুরোপুরি ঘেরা ছিল। সেখানে কোনও বহিরাগত প্রবেশ করতে পারেননি বলে দাবি করেছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল)।