স্বামী–স্ত্রীর মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল। তা থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী। এই ঘটনার পর থেকে অবসাদে ভুগছিলেন স্বামী। অনেককে বলেছিলেন, আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে স্ত্রী। বিষয়টি কালের গতিতে ঠিক হয়ে যাবে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু ঠিক হল না। বরং নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করলেন স্বামী। এভাবেই নিজেও চিরতরে আলাদা হয়ে গেলেন স্ত্রীর থেকে।
ঠিক কী ঘটেছে বেহালায়? পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা থানা এলাকার নেতাজি সড়কে। যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বামীর নাম পাপাই মান্না (৩১)। ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। যেখানে শ্বশুর–শাশুড়ি, শ্যালক–শ্যালিকা এবং স্ত্রীকে এই আত্মহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে। আর লেখা আছে, ‘রিঙ্কি আমি তোমাকে খুব ভালবাসি।’
কেন এই আত্মহত্যার ঘটনা? স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত পাপাই মান্না পেশায় গাড়ি চালক। চার বছর আগে রিঙ্কি মণ্ডলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর পাপাই জানতে পারেন, রিঙ্কির এই বিয়েতে মত ছিল না। পরিবারের চাপেই কার্যত পাপাইকে বিয়ে করেছিল রি্ঙ্কি। আর প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। তিন মাস আগে স্বামী পাপাইকে ছেড়ে চলে যান স্ত্রী রিঙ্কি। তখনই ভেঙে পড়েন পাপাই।
আজ কী দেখা গেল? আজ, শনিবার পাপাই ঘর থেকে বের হয়নি। তখন তাঁর দাদা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। তখন সন্দেহ হওয়ায় ভাইয়ের ঘরের দরজা খুলে দেখেন, সিলিং ফ্যানের থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে পাপাই। তখনই বেহালা থানায় খবর দেওয়া হয়। বেহালা থানার পুলিশ দেহ বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।