কোনও উদ্যোগই কাজে আসছে না। কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। যা নিয়ে ঘুম ছুটেছে কলকাতার পুর প্রশাসনের। শুক্রবার কলকাতার মুখ্য প্রশাকের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানিয়েছেন, শহরের পরিস্থিতি চিন্তা করে রাতে তাঁর ঘুম আসছে না।
উত্তর, পূর্ব ও মধ্য কলকাতায় করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবার প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে রাজ্যের ১,৬৭৮ জন করোনা আক্রান্তের ৮৪৬ জনই কলকাতার। কলকাতা পুর এলাকার ১৪৪টি ওয়ার্ডে রয়েছে ৩১৯টি কনটেনমেন্ট জোন। এর মধ্যে ১-৯ নম্বর বরোর অবস্থা সব থেকে খারাপ। সেখানে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৫৪। এছাড়া শুধু ১৫ নম্বর বরোতেই রয়েছে ২৭টি কনটেনমেন্ট জোন।
মৃত্যুর নিরিখেও গোটা রাজ্যে সব থেকে এগিয়ে কলকাতা। এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে যে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ১০৭ জন কলকাতার বাসিন্দা। হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে গত ৮ দিনে কলকাতায় ১০০টির বেশি কনটেনমেন্ট জোন বেড়েছে। কাশীপুর, বেলগাছিয়া, বেলেঘাটা, রাজাবাজার, গার্ডেনরিচ, তপসিয়া, মেটিয়াবুরুজের অবস্থা সব থেকে খারাপ।
এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনাতেও বেড়েছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। সেখানে ৮টিনে ১১টি কনটেনমেন্ট জোন বেড়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২তে।
হাওড়ায় যদিও ৮ দিনে কনটেনমেন্ট জোন বেড়েছে মাত্র ৪টি। উলটো দিকে পূর্ব মেদিনীপুরে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমেছে ২টি।
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা নিয়ে সেখানকার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাতে ঘুম আসছে না। সব রকম চেষ্টা করছি। সংক্রমিত এলাকাগুলিতে বেশি করে পরীক্ষা করানো হচ্ছে। করা হচ্ছে মেডিক্যাল ক্যাম্প।’