দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করলেন শ্রীরামপুরের দলীয় সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি একথা জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যকে কটাক্ষ করে কল্যাণবাবু বলেন, ‘দলের সাংগঠনিক জায়গায় যে যাকে খুশি বসাতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমি কাউকে নেতা বলে মানি না।’ৃ
এদিন কল্যাণের মন্তব্যের সমালোচনা করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন কুণাল। বলেন, ‘তিনি স্পষ্টভাবে কী বলেছেন আমি ঠিক বলতে পারব না। কটার সময় বলেছেন, সন্ধের পর বলেছেন কি না আমি তাও বলতে পারব না’।
এর পরই কল্যাণবাবুর মন্তব্যকে অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করে কুণাল বলেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যদি কোনও ব্যক্তিগত মতামত দিয়েও থাকেন তাহলে যারা আমরা সাধারণ সৈনিক রয়েছি, মাথার ওপর মমতাদি রয়েছেন, তারপর অভিষেক ও সিনিয়র নেতারা রয়েছেন, তার পরও যে যার মতো করে একটি করে ব্যক্তিগত মন্তব্য করবেন, এটা অবাঞ্ছিত। কোনও অবস্থায় হওয়া উচিত নয়। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় গোটা বিষয়টায় নজর রাখছেন’।
কুণালের মন্তব্যকে পালটা কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘আমার সার্টিফিকেট যদি কুণাল ঘোষের মতো লোকের কাছ থেকে নিতে হয় তার আগে আমার মৃত্যু হওয়া ভালো। কুণাল ঘোষ কবে দলে আছে, কবে নেই আমি জানি না। কুণাল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কত কুরুচিকর মন্তব্য করেছে সারা বাংলার মানুষ জানে। ও যখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করেছে আগামীদিনে আমিও দেখব কতটা উনি নিয়ম মেনে কাজ করেছেন। নিয়মবহির্ভূত কোনও কাজ করেছেন কি না’।
এর পরই কঠিন অভিব্যক্তিতে কল্যাণের প্রতিক্রিয়া, ‘আমার নেত্রী কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার কিন্তু অন্য কোনও নেতা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমি কাউকে নেতা বলে মানি না’।