'শকিং, দ্য ওয়ে অভিজিৎদা হ্যাজ বিন ভিক্টিমাইজড…শেম'- সিপিআইএম নেত্রীর সেই একটা লাইন নিয়েই অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বাম ব্রিগেড। পরবর্তীতে কলকাতা পুরনিগমের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় সেই লাইন মুছে দিলেও বিতর্ক থামেনি। বরং তিনি যে সাফাই দিয়েছেন, তা নিয়ে পালটা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিআইএম কাউন্সিলর দাবি করেন যে তিনি ইংরেজি ভালো বুঝতে পারেন না। আর সেই পরিস্থিতিতে ইংরেজিতে লিখতে গিয়ে ভুল হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। পালটা খোঁচা দিয়ে তৃণমূল নেতাদের দাবি, প্রাথমিক স্কুল থেকে ইংরেজি তুলে দিয়ে বামফ্রন্ট সরকার যে সর্বনাশ করেছিল, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
আর সেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের একটি পোস্টের পরে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ সাতটি অভিযোগে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতারির পরে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল পিকচার কালো করেন বিশ্বক। সেইসঙ্গে পুলিশকে গ্রেফতার করার বিষয়টি যে ‘ভুল’ হয়েছে এবং তাঁর প্রতি সংহতি জানাতে কমপক্ষে একদিনের জন্য প্রোফাইল পিকচার কালো করার আর্জি জানান তিনি।
‘মানুষ অন্যায়কে অন্যায় বলতে ভুলে গিয়েছে’
আর সেই পোস্টের নীচেই ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা লেখেন, ‘শকিং, দ্য ওয়ে অভিজিৎদা হ্যাজ বিন ভিক্টিমাইজড…শেম।’ সেই কমেন্টের জবাবে বিশ্বক লেখেন, 'একদম দিদি....আমরা ওর পাশে আছি… আশা করি, আপনাদের মতো কয়েকজন ভালো মানুষ নিশ্চয়ই ওঁর পাশে থাকবেন।’ সেটার প্রত্যুত্তরে নন্দিতা লেখেন, ‘নিশ্চয়ই। আসলে মানুষ অন্যায়কে অন্যায় বলতে ভুলে গিয়েছে, নিজেরা হাজারো অন্যায় করলেও।’
আলিমুদ্দিন থেকে কমেন্ট ডিলিটের নির্দেশ
আর সেই কথোপকথনের বিষয়টি সামনে আসার পরই হইচই শুরু হয়ে যায়। ছড়িয়ে পড়ে সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট। সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে শীর্ষনেতার ফোন যায় এক সিপিআইএম নেতার কাছে। সেখান থেকে আবার নন্দিতার কাছে দ্রুত সেই মন্তব্য ডিলিট করে দেওয়ার নির্দেশ যায়। সেইমতো কাজ করেন নন্দিতা।
ইংরেজি অত বুঝি না, সাফাই CPIM কাউন্সিলরের
তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। অস্বস্তির মুখে সিপিআইএমের কাউন্সিলর নন্দিতা দাবি করেন যে তিনি নাকি তেমন ইংরেজি বুঝতে পারেন না। তাই ওরকম মন্তব্য করে ফেলেছিলেন। ইংরেজিতে লিখে ভুল করে ফেলেছেন বলেও জানান নন্দিতা। আর নন্দিতার সেই প্রতিক্রিয়া নিয়ে পালটা খোঁচা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, প্রাথমিক স্কুলে ইংরেজি তুলে দিয়ে বামেরা যে কী সর্বনাশ করেছে, সেটা বোঝা গেল।