জুনিয়র চিকিৎসকরা টানা কর্মবিরতিতে নেমেছেন। আরজি করের ভয়াবহ ঘটনার প্রতিবাদে এই আন্দোলন। তবে এসবের মধ্য়েই জুনিয়র চিকিৎসকরা বার বার দাবি করেছেন চিকিৎসার কোথাও কোনও ঘাটতি হচ্ছে না। সিনিয়র চিকিৎসকরা চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করছেন। এমার্জেন্সি খোলা রয়েছে। যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে এসবের মধ্য়েই এক রোগীর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে তাঁদের পরিজন ভালো করে চিকিৎসা পাননি। তার জেরেই মারা গিয়েছেন তাদের পরিজন।
পরিবারের দাবি, কিডনির সমস্য়া নিয়ে গত ২ অগস্ট রিষড়ার বাসিন্দা ওই যুবক এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছিলেন। ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। তার দিদির দাবি, জুনিয়র চিকিৎসকরা রয়েছেন ভগবানের জায়গায়। তাঁরা সিফটিং করে ডিউটি দিন। ভাইটাকে কেউ দেখতে এল না। কিছু শোনেনি। ডাক্তার আসেননি। এটা কেন হবে? ডাক্তারদের আন্দোলনের জন্য আমার ভাইয়ের প্রাণ চলে গেল? আমি জাস্টিস চাইছি। কাউকে যেন ভাই হারা না হতে হয়।
তার মা জানিয়েছেন, তারা কেন পরিষেবা দিল না? আমি তো ডাক্তারদেরই দায়ী করব। সূত্রের খবর, রাজীব দে নামে ওই যুবক কিডনির সমস্যায় ভুগছিল। তাকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিবারের দাবি, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে রাজীবের মৃত্যু হয়েছে। তার চিকিৎসা যথাযথ হয়নি। এর আগে কোন্ননগরের এক যুবকের আরজি করে মৃত্যু হয়েছিল। তার মৃত্যুর পেছনে চিকিৎসকদের আন্দোলনকে দায়ী করেছিলেন পরিবারের লোকজন।
এদিকে নিহত চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন, ‘মেয়ের সঙ্গে যে জঘন্য অপরাধ হয়েছে, তার যে সম্মিলিত প্রতিবাদ হচ্ছে, তাতে আমি সাহস পেয়েছি। সবাইকে বলতে চাই, আমার সঙ্গে থাকুন। বিচার সহজে পাব না। বিচার আমাদের ছিনিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আশা করি, সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন। আপনারাই আমার সাহস।’ আর তাঁর মা জানিয়েছেন, ‘ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। মেয়ে বলত আমি ডাক্তার হব মা। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে বলিদান করল আমার মেয়ে। নৃশংস, অত্যাচারিত হয়ে হয়তো মেয়েটা ‘মা’ বলে চিৎকার করেছে। এখনও কানে মেয়ের ‘মা’ ডাক শুনি’।
এবার রিষড়ার যুবকের মৃত্যুর পেছনেও চিকিৎসকদের আন্দোলন ও তার জেরে চিকিৎসা পরিষেবা যথাযথ না পাওয়াকে দায়ী করেছেন। তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা বার বার দাবি করেছেন যে কাজের পরিবেশের ক্ষেত্রে সুরক্ষা না থাকায় তারা কাজে যোগ দিতে পারছেন না। তবে হাসপাতালে চিকিৎসার কোথাও কোনও ঘাটতি হচ্ছে না বলে তাঁদের দাবি।