মন্ত্রিত্ব থেকে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগে তিনি ব্যথিত। তবে যতক্ষণ শুভেন্দু দলে প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ না করছেন ততক্ষণ আশা ছাড়তে নারাজ সৌগত রায়। শুভেন্দুর সঙ্গে সমঝোতার ভার তাঁর ওপরেই ছেড়েছিল তৃণমূল। ভাইফোঁটা থেকে ২ দফায় শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে তাঁর। তবে তার পরও শুভেন্দুর পদত্যাগ করলেও তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের এই প্রবীণ সাংসদ।
এদিন সৌগতবাবু বলেন, ‘উনি তো এখনো দলের বিধায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেননি। যতক্ষণ উনি পার্টিতে আছেন, পার্টির বিধায়ক আছে ততক্ষণ আশা আছে’।
মন্ত্রিত্বে পদত্যাগ করলেও শুভেন্দুকে নিয়ে তিনি আশাবাদী বলে দাবি করে সৌগতবাবু বলেন, ‘যতক্ষণ উনি পার্টিতে আছেন দলের নির্দেশ অনুসারে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব। এখনো ও কথা বলতে রাজি আছে। ওর সঙ্গে কথা বলে পজিটিভ মনে হয়েছে। ও আগেও বলেছে আমি পার্টি ছাড়বো না’।
শুভেন্দুর পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে দাবি করে সৌগতবাবু বলেন, ‘মন্ত্রিত্বে পদত্যাগ ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। এটা চূড়ান্ত কিছু নয়। পার্টি ছেড়ে দিলে তখন আর কথা বলার প্রশ্ন থাকবে না। দলের তরফে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যতক্ষণ তা না হচ্ছে চেষ্টা চালাতে হবে’।
শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়বেন না বলে আশাপ্রকাশ করে সৌগতবাবু বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওর বারবার কথা হয়েছে। ও পার্টি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা বলেনি। তবে শুভেন্দু পার্টিতে থাকবেন সেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না’।
শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কাছে পরিবহণ দফতর-সহ মোট ৩টি দফতরের দায়িত্ব ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেও এখনো বিধায়ক পদ ও তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ছেন না শুভেন্দু।