যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার ১১ দিন পর মুখ খুললেন অরিত্র মুজমদার ওরফে আলু। ঘটনার পর থেকে তাকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা হয়েছে বিস্তর। পুলিশ তাঁর নাম না করলেও তাদের সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন এই ছাত্রনেতা। অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে অরিত্রর দাবি, ঘটনার দিন তিনি হস্টেলেই যাননি। যে কোনও রকম তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন তিনি।
যাদপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়ে অরিত্র ওরফে আলুর। তাঁর খোঁদ না পাওয়া জল্পনা আরও বাড়ে। তাঁর খোঁজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পোস্টারও পড়ে। ফেসবুক পোস্টে যাদবপুরের ছাত্র নেতা জানিয়েছেন তিনি কাশ্মীরে ট্রেকিং-এ গিয়েছিলেন।
(পড়তে পারেন। কীভাবে পড়ে গিয়েছিল পড়ুয়া? হস্টেলের বারান্দা থেকে ডামি ফেলে পুনর্নির্মাণ পুলিশের)
অরিত্র লিখেছেন, ‘৯ অগস্ট রাতে আমি যাদবপুরের মেন হোস্টেলে ঢুকিইনি। এমনকি, তার আগের বেশ কিছুকাল আমি হোস্টেলে যাইওনি। আমি সেই রাতে কেপিসি হাসপাতালেও গিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে, গোটা অভিযোগটাই অবান্তর।’ ওই পোস্টে অরিত্র আরও জানিয়েছেন, ১০ অগস্ট তিনি রাজধানী এক্সপ্রেসে করে দিল্লি যান, সেখান থেকে বিমানে করে কাশ্মীরে ট্রেকিং করতে যান তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘গত ১০ অগস্ট, ট্রেন ধরার আগে সকালে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। যাঁরা সেই রাতের ঘটনার পরেই আমার ফেরার হওয়া নিয়ে প্রচার করছেন, তাঁদের অনেকের সঙ্গে দেখাও হয়েছিল সে দিন। আমি ট্রেকে যাব, সে কথা আমার রিসার্চ গাইডকে আগেই জানিয়েছিলাম।’
(পড়তে পারেন। 'স্যার যৌন হেনস্থা করতেন,' বিশ্বভারতীর প্রফেসরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবাদে অনশন)
অরিত্র বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি, এক প্রভাবশালী নেতার ছেলের ছত্রছায়ায় লুকিয়ে রয়েছেন। এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, কেউ কেউ লিখেছেন রাজ্যের এক প্রভাবশালী নেতা ছত্রছায়ায় আমি লুকিয়ে রয়েছি। এই অভিযোগ অভাবনীয়। আমার এবং আমার পরিবারের দিক থেকে দেখলে তা বীভৎসও ।’
তবে তিনি যাবতীয় তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। অরিত্র জানিয়েছেন, তিনি শীঘ্রই কলকাতা ফিরে আসছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি এবং র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছেন।