নবীন প্রজন্মের কাঁধে গুরুদায়িত্ব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত নবীনকে সমস্ত কিছু দিতে চান প্রবীণ। তাই অভিষেককে কাছে পেয়ে আবেগে ভেসে গেলেন সুব্রত বক্সি। ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রণাম করতেই, বুকে টেনে নিলেন বিহ্বল সুব্রত। এরপর তাঁকে বললেন, ‘যা আছে, যতটুকু আছে, তোকে সব উজাড় করে দিয়ে দেব।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েই গুরুজনদের আশীর্বাদ নিতে রবিবার দলের শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে পৌঁছান অভিষেক। দেখা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রবিবারের বারবেলায় মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে প্রথমেই পৌঁছে যান নাকতলায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তাঁকে প্রণাম করে ঘণ্টাখানেক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। পার্থ প্রশাসনিক কাজের নানা দিক নিয়ে পরামর্শ দেন অভিষেককে।
সেখান থেকে বেরিয়ে এর পর অভিষেক সোজা চলে আসেন ভবানীপুরে সুব্রত বক্সির বাসভবনে। চেনা পরিসরে সুব্রত আবেগপ্রবণ মানুষ হিসেবেই পরিচিত। তার উপর ছোটোবেলা থেকেই অভিষেকের উত্থানের সাক্ষী তিনি। কারণ, চোখের সামনে অভিষেককে বড় হতে দেখেছেন তিনি। তাই অভিষেক তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করা মাত্রই তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন সুব্রত। ধরে রাখতে পারলেন না চোখের জল। কেঁদেই ফেললেন। মুখে শুধু বললেন, ‘যা আছে, যতটুকু আছে, তোকে সব উজাড় করে দেব। মমতাদির কষ্ট দেখেও উপেক্ষা করতে হয়েছে। কী কষ্ট করেছেন ভদ্রমহিলা।’ উত্তরে অভিষেক বললেন, ‘তোমাকে সুস্থ থাকতে হবে।’
এর পর অভিষেক নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘ বাংলার মানুষ তৃণমূলের উপর আরও একবার নিজের আস্থা রেখেছে। মানুষের ভালোবাসা ও ভরসার মর্যাদা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। মানুষের স্বার্থ, অধিকার ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দলের তরফ থেকে আমাকে এক নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব যথায়থভাবে পালন করতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দলের বর্ষিয়ান নেতা নেত্রীদের আশীর্বাদ ও পরামর্শ আমাকে এই নতুন যাত্রাপথে অগ্রসর হতে উদ্বুদ্ধ করবে।’