দরজায় কড়া নাড়ছে ভবানীপুর উপনির্বাচন। জোরকদমে প্রচার চলছে এলাকায়। আর সেই প্রচারকে কেন্দ্র করে বার বার বিরোধের মুখেও পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। সোমবার সকালেই যদুবাবুর বাজারে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপরই সেই এলাকায় সভা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকে তিনি যা বললেন তা চমকে দেওয়ার মতোই। তিনি এদিন জানিয়ে দেন, ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল জিতলে তাঁকে বিরোধী দলনেতার চেয়ার ছেড়ে দেবেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে এবার ২১শের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর হাতে ধরাশায়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ভবানীপুর উপনির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু মমতা পরাস্ত হলেও রাজ্যে ফের ফিরে এসেছে তৃণমূল। সেকারণে ভবানীপুর আসন থেকে মমতাকে হারিয়ে তৃণমূলকে আরও বিপাকে ফেলতে চাইছেন শুভেন্দু। আর জিতলে বিরোধী দলনেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ চেয়ার ছেড়ে দিতেও যে তিনি তৈরি সেকথাও জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতার চেয়ার থেকে সরানোর ব্যাপারে ইতিমধ্য়েই কেন্দ্রীয়স্তরে কানাঘুঁষো চলছিল। সেটা আঁচ করেই কি তিনি একথা আগাম বলে রাখলেন?
এদিকে এদিন প্রচারের শেষবেলায় তাঁর বক্তব্যে বার বার মমতাকে তুলোধোনা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই হেরে চলে এসেছেন। এমন বাউন্ডারি মেরেছি এখানে চলে এসেছেন। শুভেন্দুর মোক্ষম কটাক্ষ, উনি নাকি নিজেকে ত্যাগের প্রতীক বলেন, অথচ বলছেন আমাকে ভোট দাও। আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে বলব, প্রিয়ঙ্কা ভবানীপুরটা জিতলে আমার চেয়ারটা ওকে ছেড়ে দেব। এদিকে নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনে সব বলব। সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।