আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তের নামে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে শনিবার রাতে স্থানীয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগও রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আর অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারির পর চাপ আরও বেড়েছে কলকাতার কোতয়াল বিনীত গোয়েলের ওপর। কারণ এই আরজি কর হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়েই তিনি বলেছিলেন, কলকাতা পুলিশের কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কোনও অভিযোগ সিবিআই প্রমাণ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন- হাসপাতালে ভর্তি হয়েও শেষ রক্ষা হল না, গ্রেফতার টালা থানার প্রাক্তন ওসি
পড়তে থাকুন - ‘সন্দীপের গ্রেফতারির খবর পাওয়ায় হয়তো আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সাহস হয়নি’
গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনার পর গভীর রাতে হাসপাতালে পৌঁছন বিনীত গোয়েল। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তখন কার্যত বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে।
হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের কোতয়াল সাহেব বলেছিলেন, ‘আমরা কোনও ভুল করিনি। আমি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমার দলের সমস্ত সদস্যের তরফে বলছি, আমরা কাউকে বাচানোর চেষ্টা করিনি। কাউকে না, কাউকে না। যদি সিবিআই প্রমাণ করতে পারে আমি বা আমার লোকেরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে বা কোনও তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছে আমরা তার জন্য দায়ী থাকব। আমরা একটি দায়িত্বশীল বাহিনী। আপনি এভাবে প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন না।’
আরও পড়ুন - ‘টালার সুস্থ ওসিকে ভরতি নেয়নি কেন? হাসপাতালের বিরুদ্ধে অ্যাকশনের নিদান দেন মমতা'
অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারির পর বিনীত গোয়েলের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, টালা থানার ওসির গ্রেফতারির পর তাঁর পদে থাকার কোনও অধিকার নেই। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, আরজি করের ঘটনার পর তাঁর কাছে একাধিকবার ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিনীত গোয়েল। কিন্তু তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেননি তিনি।