জে পি নড্ডার উপর হামলার কয়েকদিন পরই বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ তুলে দিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। বাংলায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ তুলল জাতীয় মহিলা কমিশন। শনিবার দু’দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, নারী নিরাপত্তা যথাযথ নয় এই রাজ্যে। নারী–পাচারের মতো ঘটনাও ঘটে চলেছে অবাধে। তা রুখতে সক্রিয় নয় প্রশাসন। বাংলায় নারী নির্যাতনের যাবতীয় রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে চান রেখা শর্মা।
এই রাজ্যে নারীদের উপর অত্যাচার নিয়ে ২৬০টি মামলার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে তিনি আগে থেকে চিঠি লিখে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন। শনিবারই উভয়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে থাকার কথা ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার, মুখ্যসচিবেরও। কিন্তু রেখা শর্মার অভিযোগ, এই বৈঠকে তাঁরা হাজির হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ডিজিপি।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়েছিল। রেখা শর্মার অভিযোগ, যাঁরা রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলেন, তাঁরা কেউই গত ছ'মাসে রাজ্যে নারী নিরাপত্তার কী পরিস্থিতি, সে বিষয়ে খোঁজখবরই রাখেননি। অন্তত ২৭৬টি মামলার কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই তাঁদের কাছে। পকসো আইন এবং স্বতঃপ্রণোদিত মামলাগুলি নিয়েও তাঁরা বিশেষ ওয়াকিবহাল নন বলে অভিযোগ জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের।
রেখা শর্মার আরও দাবি, তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নিগৃহীত মহিলা এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। বুঝেছেন যে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই নিষ্ক্রিয় ছিল, সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। যদি তাঁরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হন তাহলে মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ২৬০টি অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য তুলে দেওয়া হবে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের এই অভিযোগের যথারীতি বিরোধিতা করে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ যে নারী পাচারের আদর্শ স্থান হিসেবে বলা হচ্ছে, সেই ঘটনায় শাসক দলের কেউ নয়, বিজেপি নেত্রীর নাম জড়িয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছে, জাতীয় মহিলা কমিশনও বিজেপির সুরেই কথা বলছে।’