৪৫ বছরের বেশি হলে কেউ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। এখানেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, অভিজ্ঞতাকে দাম না দিলে সংগঠন চলবে কীকরে। ইতিমধ্যে নতুন এই নিয়ম বাতিলের দাবিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন আদি নেতারা। এই বিষয়ে নতুন করে জেলায় জেলায় ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিজেপিপ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি রাজকমল পাঠক। শুধু রাজকমলবাবুই নন, অনেক পুরনো বিজেপি নেতাই চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছেন, মণ্ডল কমিটির সভাপতির বয়সসীমা বাড়ানো হোক। তা না হলে প্রবীণ ও নবীনের মধ্যে সমন্বয় বজায় থাকবে না। অনেক জায়গায় মণ্ডল কমিটিতে পুরনো নেতাদের বাদ দিয়ে নতুনদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের একাংশের পছন্দের লোকেরা বিভিন্ন মণ্ডল কমিটির সভাপতির জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যে বিজেপির মণ্ডল রয়েছে ১২৬০টি। ৫০ থেকে ৭০টি বুথ নিয়ে একটি মণ্ডল গঠিত হয়। রাজ্য সভাপতির পদে বদলের পর থেকে বিজেপির মণ্ডল কমিটিতে বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মণ্ডল কমিটি বদল করতে গিয়ে অনেক জায়গাতেই বিজেপিকে সাংগঠনিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, বেশ কিছু জায়গায় এমন অবস্থা যেখানে বিজেপির পতাকা ধরার লোকও নেই। এই প্রেক্ষপটে দাঁড়িয়ে দলের অনেক পুরনো নেতারাই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, যারা দলের জন্য ভাল কাজ করছে, তাঁদের শুধুমাত্র বয়সের কারণে কেন বসিয়ে দেওয়া হবে?