ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সন্ত্রাসে নিহত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির প্রতিনিধি দলের এই সাক্ষাতের পরই এই প্রসঙ্গে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল।
এদিন বিকেলে ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের সিঁড়িতেই বসেছিলেন স্বজনহারার পরিবার। সকলের কথা মন দিয়ে শোনেন রাজ্যপাল। বিচার চেয়ে রাজ্যপালের পায়ে লুটিয়ে পড়েন স্বজনহারার পরিবারের সদস্যদের একজন। এরপর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথাও শোনেন রাজ্যপাল। এরপর রাজ্যপাল জানান, ‘আমি রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছি। এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর এই পরিস্থিতি দেখে রাজ্যপাল হিসাবে আমি বিচলিত ও দুঃখিত।’ এদিন রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন, রামপুরহাটে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হলে এখানে নয় কেন? একইসঙ্গে অভিযোগের সুরেই তিনি জানান, ‘রাজ্যে ভেদাভেদের রাজনীতি চলছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি রাজ্যপাল। তিনি জানান, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা সমাজের জন্য লজ্জার। এক বছর পরও কোনও সুরাহা না হওয়াটা খুবই চিন্তার বিষয়। এই অবিচারের ইস্যুতে আমার কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। এখানে হিংসার শিকার হওয়া পরিবারের সদস্যদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। আমি এই স্মারকলিপি খতিয়ে দেখব।’ উল্লেখ্য, এদিন রানি রাসমণি রোডে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধরনা মঞ্চের আয়োজন করা হয়। সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যায় বিজেপির প্রতিনিধিরা। এর আগে অবশ্য ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল।