মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজনের ভার রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়া উচিত বলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবিকে কটাক্ষ করে উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। শনিবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে তিনি বলেন, সেটা বলে পার্থবাবুর থেকে উঁচু টাকার পাহাড় ব্রাত্যবাবুর বাড়িতে উদ্ধার হবে।
আরও পড়ুন - তিলক কেটে আসতে বারণ ছাত্রীকে, তীব্র বিক্ষোভের মুখে সুর নরম মুর্শিদাবাদের স্কুলের
পড়তে থাকুন - বিধানসভার অফিসের কম্পিউটারে চলছে গেম, দিলীপ ঘোষের ‘অভিযান’এ ধরা পড়ল হাতে নাতে
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘ব্রাত্যবাবুর কথা শুনে মনে হচ্ছে, চালুনি বলে সূঁচকে, তোর পিছনে ফুটো। মাধ্যমিকের প্রশ্ন এতবার ফাঁস হয়েছে যে মাধ্যমিককে লোকে এখন মাধ্যলিক বলে। সে বলছে যে আমরা আটকাবো। তাদের জমানায় কী হয়েছে সে তো দেখা গেছে। আল আমিন মিশনের ছাত্র দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ ভরে গেছে। আলাদা হস্টেল তৈরি হয়ে গেছে বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ছাত্রদের জন্য। আল আমিন মিশনের ছাত্রদের জোর করে ঢোকানো হত। এখনও তদন্ত হলে সব জেলে যাবে। প্রচুর এরকম ছাত্র ঢুকেছে যাদের যোগ্যতা নেই।’
কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘এখানে দুর্নীতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। সুপ্রিম কোর্টও সেটা পরিষ্কার বলে দিয়েছে। ১৪ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১৫৬৩ জনের সমস্যা। ৬টি সেন্টারে যে সেট প্রশ্নপত্র খোলার কথা অন্য সেট খুলে ফেলেছে। সেটা তো সেই স্কুলের শিক্ষকদের ভুল। সেজন্য ১৫৬৩ জনকে গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়েছে। সেটাও সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে দেওয়া হয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট বলছে, দেওয়ার দরকার নেই। তাদের ২টো অপশন দেওয়া হচ্ছে। হয় তারা আবার পরীক্ষা দেবে, নইলে গ্রেস মার্কস ছাড়া পুরনো নম্বর মেনে নেবে।’
ব্রাত্যবাবুকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা চালাতে পারে না তারা NEET কী করে চালাবে? এবারও ইংরাজি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নপত্র বেরিয়ে গিয়েছে। নিটের দায়িত্ব ব্রাত্যবাবুকে দিলে পার্থবাবুর থেকে বেশি টাকার স্তুপ ব্রাত্যবাবুর বাড়িতে পাওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন - প্রভাবশালী বিধায়ককে দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিল শাহজাহান, আদালতে জানাল ED
বলে রাখি, ২০১৬ সালের রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ওই পরীক্ষায় আল আমিন মিশন নামে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের হার সবার নজর কেড়েছিল। ওই পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তাতে উঠে আসে, যোগ্যতা না থাকলেও আল আমিন মিশনের বহু ছাত্রকে কোনও অজ্ঞাত কারণে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।