যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়া স্কুলের ফি দিতে না পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সময়ের প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে সমস্ত স্কুল আদালতের বেঁধে দেওয়া টিউশন ফি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে, তাদের আগামী ৬ অগস্টের শুনানিতে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে কতজন পড়ুয়া টিউশন ফি দেয়নি, কোন কোন স্কুল টিউশন ফি পাচ্ছে না, তারও একটি তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে পড়ুয়াদের টিউশন ফি জমা পড়েনি, তাদের অভিভাবকদের নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে একাধিক স্কুলের বিরুদ্ধে বর্ধিত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। ১৩ অক্টোবর বেসরকারি স্কুলগুলিকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। জানানো হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতিতে কোনও রকম ল্যাবরেটরি, ক্রীড়া সংক্রান্ত, পিকনিক সংক্রান্ত ফি নেওয়া যাবে না। স্কুলগুলি মোট পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ রাখতে পারবে না। তারইমধ্যে বর্ধিত ফি নিয়ে হাইকোর্টে নতুন করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী ধীলন সেনগুপ্ত। সেই মামলার শুনানিতে দিনকয়েক আগে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও কোনও পড়ুয়ার নাম স্কুল থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। আপাতত আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বেসরকারি স্কুল ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সেই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট।