২০১৪–১৫ সালের যদি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারি হয়, তাহলে নোট বন্দির পরের টাকা পাওয়া গেল কী করে? এই প্রশ্নই তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। যে নোট পাওয়া গিয়েছে, তাতে ২০০০ টাকা ও ৫০০ টাকার নতুন নোট রয়েছে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে নোট বন্দির পর হয়েছে।
রবিবার উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘২০১৪–১৫ সালের যদি কেলেঙ্কারি হয়, তাহলে এই নোট এল কী করে? কারণ ২০১৪–১৫ সালের যদি কেলেঙ্কারি হয়, তারপর নোটবন্দি হয়েছে। যে সময়ের দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, নোটগুলি যে সেই সময়ের, তা মিলছে কি মিলছে না, তা তদন্ত করে দেখা হোক।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘যাঁর বাড়ি থেকে এই নোট উদ্ধার করা হয়েছে, সেই অর্পিতার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। তিনি তৃণমূলের কেউ নন।’ তৃণমূলের মুখপাত্র স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ‘তৃণমূল নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে, যাদের বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে, সে–ই একমাত্র বলতে পারবে। এই নিয়ে বলার দায়িত্ব তাঁদের ও তাঁদের আইনজীবী।’
একইসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র জোর দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমরা এর আগে একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত দেখেছি যা বছরের পর বছর ধরে চলেছে। আমরা এবার টাইম বাউন্ড ইনভেস্টিগেশন চাই। আমরা দেখেছি, সারদা, নারদ কেলেঙ্কারির মতো তদন্ত বছরের পর বছর ধরে চলছে। বছরের পর বছর ধরে তদন্ত চলতে পারে না। তদন্ত চলতে থাকবে আর বিরোধী দলগুলি তৃণমূলকে লক্ষ্য করে অপপ্রচার চালাবে, এটা হতে পারে না।’