এবার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি রাজ্য শাখা কাউকে সাসপেন্ড করতে পারে না। সেক্ষেত্রে আর সাসপেনশন রইল না চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের। সব মিলিয়ে আরজি কর কাণ্ডের জেরে যখন গোটা দেশ উত্তাল তখনই সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। আইএএমের রাজ্য শাখার তরফে এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল। তবে এবার সেই সাসপেনশন তুলে নিল আইএমএর কেন্দ্রীয় অফিস।
বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। তাঁর বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। বার বারই জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। সেই সময় বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের দেহ যেদিন উদ্ধার করা হয়েছিল অর্থাৎ গত ৯ অগস্ট সকালে সেই সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন বিরূপাক্ষ। তবে তারপর এনিয়ে নানা কথা উঠতে থাকে।
তবে এবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য শাখা কাউকে সাসপেন্ড করতে পারে না। সেক্ষেত্রে রাজ্য শাখা যেভাবে বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছিল সেটা কার্যত আর ধোপে টিকল না।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) পশ্চিমবঙ্গ শাখা সহ বিভিন্ন সংস্থার সিনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন চলাকালীন অভিযোগ তুলেছিলেন, সন্দীপ ঘোষ বেশ কয়েকজন সহযোগীর সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগে একটি চক্র চালাচ্ছিলেন, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস।
আন্দোলন চলাকালীন একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়, যেখানে বিশ্বাসকে চূড়ান্ত বর্ষের মেডিক্যাল পড়ুয়াকে হুমকি দিতে শোনা যায়, বিশ্বাসের নির্দেশ না মানলে তিনি সার্টিফিকেট পাবেন না।
বিরূপাক্ষ তখন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, অডিও ক্লিপটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, কণ্ঠটি তার নয়।
তবে এবার সেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হল।