ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) কলকাতা শাখার নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কারণ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা নেতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই আর একজন সদস্য। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একজন প্রার্থী স্বীকার করছেন, তিনি তৃণমূলপন্থী। আর একজন রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও। কারণ এই বিধায়ক আবার দাবি করে বসেছেন তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচিত প্রার্থী! কিন্তু এখানে প্রার্থী কারা? আইএমএ’র কলকাতা শাখার সভাপতি পদে লড়ছেন বিধায়ক তথা চিকিৎসক নির্মল মাজি। আর তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক প্রশান্ত ভট্টাচার্য। যিনি ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কর্মসূচিতে অগ্রণী ভূমিকায় নিয়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, এই প্রশান্ত ভট্টাচার্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই নির্মল মাজির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে ধমকাচ্ছেন উনি। বদলি করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু যাঁর জন্য বেশিরভাগ চিকিৎসক সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, আমরা তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
নির্মল মাজির সঙ্গে শান্তনু সেনের বিবাদও রয়েছে। যার জেরে নির্মল মাজির কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শান্তনু অনুগামীরা। তাঁরা সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, ‘কুকুরের ডায়ালিসিস থেকে টসিলাজুমাব। যিনি কেলেঙ্কারির চূড়ায় বসে রয়েছেন তিনি আবার অন্যের বিচার করেন। আমরা গোঁড়া তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। আমরা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে চাই। আমরা ব্যক্তি নির্মল মাজির বিরুদ্ধে।’ এই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নির্মল মাজি বলেন, ‘আমি ক্ষমতা আগলে রাখি না। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে লড়াই না করেন, তাহলে কী করব? তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছি। আর যৌন হেনস্থার অভিযোগে প্রশান্ত জেল খেটেছেন, এখনও মামলা চলছে। অনেক দুর্নীতি করেছেন। যৌন হেনস্থার অভিযোগ থাকা একজনকে সভাপতি পদে কোনও চিকিৎসক মেনে নিতে পারছেন না।’