সন্দীপ ঘোষ। তার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। বছর দেড়েক আগে সেখানকার ডেপুটি সুপার আখতার আলি বিভিন্ন মহলে এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখন কোনও ব্যবস্থা নেওয় হয়নি। তবে আর জি কর কাণ্ডের পরে ফের সামনে আসছে সেই সন্দীপ ঘোষের নাম। এবার সেই সন্দীপ ঘোষের আইএমএর সদস্যপদ খারিজ করা হল। ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছে। আইএমএর সদর দফতর সকলের সম্মতিতে সন্দীপের সদস্যপদ খারিজ করেছে। সন্দীপ ছিলেন আইএমএ কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট।
সিবিআই ইতিমধ্য়েই সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে। তার বাড়িতে তল্লাশি চলেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রী খুন হওয়ার পরেও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সহানুভূতি নিয়ে কথা বলেননি।
এদিকে ইডিও সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা সম্পর্কিত তদন্ত চালাচ্ছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কিত বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। এজেন্সি দুটি মামলা করেছে। একটা হল চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন সংক্রান্ত বিষয়ে। অপরটি হল সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কিত অনিয়মের মামলা।
এদিকে আইএমএর কলকাতা শাখায় বেশ উল্লেখযোগ্য পদে ছিলেন সন্দীপ। এনিয়ে তার দাপট কিছু কম ছিল না। তবে এবার একেবারে পদ থেকে শুধু নয়, সদস্যপদও কেড়ে নিল আইএমএ।
এদিকে সেই সন্দীপ ঘোষকে অবশ্য আরজি কর কাণ্ডের পরে প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছিল সরকার। কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার? তবে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।
বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে তিনি বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষকে কেন অ্যারেস্ট করেনি সিবিআই?’ সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে লাশের রাজনীতি করছে বিজেপি। অভিষেকের কথায়, ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনা নিয়ে যাঁরা লাশের নোংরা রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছেন, বাংলার মানুষের কাছে তাঁদের মুখোশ খুলে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, যাদের আমলে উন্নাও হাথরাস, বদলপুর হয়েছে সেই নারীবিরোধীদের কাছে আমাদের নারী সুরক্ষা শিখতে হবে না। যারা মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগের কথা বলছেন গত ১০ বছরে মহিলাদের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি ক্রাইম যদি কোথাও হয় তবে সেটা উত্তরপ্রদেশ, দু নম্বরে মধ্য়প্রদেশ…
তবে এবার সেই সন্দীপের সদস্যপদ খারিজ করল আইএমএ। এত অন্ধকারের মাঝে অন্তত কিছুটা হলেও আশা দেখতে পারছেন অনেকেই।