আগামী ১ জুন শেষ দফায় ভোট রয়েছে যাদবপুর কেন্দ্রে। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তার আগেই ফের এই কেন্দ্রে এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে গাঙ্গুলিবাগান এলাকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান যাদবপুরের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। পরে তিনি অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন: সৃজনের গাড়িতে হামলা, TMC-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘CPM ছাগলের ৩য় সন্তান’ পালটা অরূপ
অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে গাঙ্গুলিবাগানের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলাচরণ চক্রবর্তী নামে এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়। তিনি পার্টি অফিসে ছিলেন। পরে রাতে পার্টি অফিস বন্ধ করে খাবার কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। সিপিএমের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের কর্মী। মঙ্গলাচরণকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে বসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি যাতে পোলিং এজেন্ট হিসেবে না বসেন তার জন্য হুমকি দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, তাতে আপত্তি জানালে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই সেখানে ছুটে যান যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। ঘটনার পর মঙ্গলাচরণকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেই সময় যখন ভর্তির প্রক্রিয়া চলছিল তখন অভিযুক্তরা সেখানে পৌঁছে যায়। তাদের দেখে চিহ্নিত করেন অন্য এক সিপিএম কর্মী। এরপর তিনি বিষয়টি সৃজনকে জানান। তারপরে সৃজন এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে নেতাজি নগর থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সোমনাথ রাউত। যদিও অভিযুক্ত মারধরের কথা অস্বীকার করেছে। তবে কেন সে হাসপাতালে গিয়েছিল? তার উত্তর দিতে পারেনি। সিপিএমের অভিযোগ, যে দুষ্কৃতীরা মঙ্গলাচরণকে মারধর করেছিল তাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিও ছিল। সৃজন ভট্টাচার্য জানান, যাকে মারধর করা হয়েছে তিনি একজন প্রবীণ নাগরিক। তার হৃদরোগের সমস্যা আছে। তিনি যাতে বুথে না বসেন তার জন্য তাকে হুমকি দিতে এসেছিল এবং মারধর করা হয়েছিল। এছাড়াও তাকে বাঁচাতে গিয়ে ৭২ বছর বয়সি এক মহিলা এবং ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরী আহত হয়েছে। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।