বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Panchayat Election: মে মাসেই হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিজ্ঞপ্তি জারি কি পয়লা বৈশাখে?‌

Panchayat Election: মে মাসেই হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিজ্ঞপ্তি জারি কি পয়লা বৈশাখে?‌

রাজ্য নির্বাচন কমিশন। (ফাইল ছবি)

নির্বাচন পরিচালনার জন্য টিম তৈরির কাজও চলছে। হিসেব অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজের জন্য ২২টি জেলায় ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ–সহ প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ সরকারি কর্মীর প্রয়োজন পড়বে। এবারের নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

পঞ্চায়েত স্তরে আসন সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এই ইস্যুতে তারা হস্তক্ষেপ করছে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের উপরই আস্থা রেখেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণায় আর কোনও বাধা রইল না। সূত্রের খবর, এপ্রিল মাসেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর মে মাসেই গোটা ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চাইছে।

এদিকে পয়লা বৈশাখের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভোট করার বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। তবে সশস্ত্র বাহিনী থাকবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর মিলছে। যদিও নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরই ছেড়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায় আসার পরই তৎপরতা শুরু হয় কমিশনের অন্দরে। নিয়ম অনুযায়ী, কমিশন এবং রাজ্য সরকার—উভয়পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়ে থাকে। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই এই রাজ্যকে চিঠি পাঠাতে চলেছে তারা। রাজ্যের পক্ষ থেকে সম্মতি মিললে দু’পক্ষের সহমতের ভিত্তিতে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট স্থির হবে। তারপরই বিজ্ঞপ্তি জারির পথে হাঁটবে কমিশন।

অন্যদিকে নির্ঘন্ট ঘোষণার ক্ষেত্রে রমজান মাসের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। আইন অনুযায়ী, বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর ন্যূনতম ২১ থেকে সর্বাধিক ৪৫ দিনের ব্যবধান জরুরি। তাই মাঝামাঝি সময়কে ভিত্তি ধরে নিয়ে মে মাসের মধ্যে গোটা ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে এপ্রিল মাসের শেষে বিজ্ঞপ্তি জারি হলে মে মাসের মাঝামাঝির মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের লক্ষ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সেরে রেখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দফায় দফায় জেলাগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে। বুথ সংখ্যা চূড়ান্ত করা, ভোটকেন্দ্র তৈরি, জেলাগুলিকে তার তালিকা প্রকাশের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে অভিযোগ থাকলে তার নিষ্পত্তি করে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা কমিশনের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে জেলাগুলিকে।

আর কী প্রক্রিয়া আছে?‌ নির্বাচন পরিচালনার জন্য টিম তৈরির কাজও চলছে। হিসেব অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজের জন্য ২২টি জেলায় ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ–সহ প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ সরকারি কর্মীর প্রয়োজন পড়বে। এবারের নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়েছেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে সব রাজনৈতিক দলই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

বন্ধ করুন