জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রায় দু বছর পরে তিনি ফিরতে পারেন বীরভূমে। যে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের অঙ্গুলি হেলনে একটা গাছের পাতাও নড়ত না সেই অনুব্রত এতদিন কাটিয়ে এলেন তিহাড়ে। তবে সব দিক ঠিক থাকলে সম্ভবত সোমবার তিনি মুক্ত পাবেন। কিন্তু এবার প্রশ্ন ঠিক কোন সওয়ালের ভিত্তিতে জামিন পেলেন অনুব্রত?
আসলে অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেছিলেন গরু পাচারের টাকা যে সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে এসেছে তার কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে অনুব্রতর জামিন পাওয়ার খবরে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে তৃণমূল।
এবার অনুব্রত বীরভূমে ফিরলে ঠিক কী ধরনের অভ্যর্থনা দেওয়া হয় তাকে সেটাও দেখার। সব মিলিয়ে সিউড়িতে শুরু হয়ে মিষ্টিমুখ। বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে আবীর খেলা। উচ্ছাস প্রকাশ করছে তৃণমূল।
এদিকে অনুব্রতর জামিনের পেছনে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে আদালত। তাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারবেন না। দিল্লি ও বীরভূমে অনুব্রতর বসবাসের ঠিকানা আগাম জানিয়ে রাখতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
২০২২ সালের ১১ অগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। একই মামলায় ১৬ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেবার একেবারে বীরভূমের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআইয়ের পর এবার ইডির মামলাতেও জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
বাবা ও মেয়ে উভয়েই থাকতেন তিহাড় জেলে। কন্যা ১০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছেন। এবার মুক্তি পেতে চলেছেন বাবাও। এদিকে অনুব্রতর মুক্তির ঘটনা কার্যত রাজ্য রাজনীতিতেও শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তিহাড় থেকে মুক্তি পাবেন তিনি।
দলীয় নেতৃত্ব বলছেন, উনি সভাপতি ছিলেন, আছেন থাকবেন। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ফের কি জেলায় ফিরে বিরোধীদের চমকাবেন তিনি? তাকিয়ে গোটা বাংলা।
এর আগে জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রতর কন্যা। অনুব্রত কন্যার জামিনে মুক্তির খবর বীরভূমে আসতেই উৎসবের মেজাজ দেখা গিয়েছিল নানুরের আটকুলা এলাকা। সেখানে রীতিমতে পাত পেড়ে রাতে মাংস-ভাত খাওয়ানো হয়।
তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত আব্দুল কেরিম খান। দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি থাকার ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই কেরিম খান খানিকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন বীরভূমের রাজনীতিতে। এরপরই সদ্য সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের খবর পেতেই তিনি খুশিতে এই ভুরি ভোজের আয়োজন করেছিলেন।