অন্যান্যবারের স্বাধীনতা দিবসটা এমন সাদা কালো ছিল না প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। এবার তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস বলে কথা। লাল বাতি গাড়ি নেই। চারপাশে অনুগামীদের ভিড় নেই। দিনভর পুরানো স্মৃতি রোমন্থন করেন তিনি। সূত্রের খবর, বর্তমানে পার্থর পড়শি হিসাবে রয়েছে একাধিক কুখ্যাত অপরাধী। অনেকেই এদিন পতাকা তোলার অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন। তবে এদিন প্রাক্তন মন্ত্রীর বার বার মনে পড়ে যায় অতীতের কথা। এই দিনে আগে কতটা ব্যস্ত থাকতেন তিনি।
তবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এদিনও সংশোধনাগারে বিশেষ মেনু। সূত্রের খবর, পুরোপুরি বাঙালিয়ানা ছিল এদিনের মেনুতে। গরম গরম ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল, কাতলা মাছের কালিয়া, আমসত্ত্ব-খেজুর দিয়ে চাটনি। শেষ পাতে দুটি করে মিষ্টি। কার্যত কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা সংশোধনাগারের বন্দিদের জন্য।
এই দিনটা যেন কিছুটা অন্যরকম জেলের আবাসিকদের জন্য। সকাল থেকে জেল চত্বরকে তেরঙা দিয়ে সাজিয়ে তোলা। অনেকেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। এরপর জাতীয় পতাকা তোলা হয়। দুপুরে স্পেশাল মেনু। প্রেসিডেন্সি জেলের উঁচু পাঁচিলের আড়ালেও যেন স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠান আবাসিকদের মনকেও ছুঁয়ে যায়। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নিঃসন্দেহে এটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কিছুটা মন খারাপেরও। স্বাধীনতা দিবসে তাঁকে এভাবে সংশোধনাগারের পাঁচিলের ওপারে কাটাতে হবে এটা হয়তো ভাবতে পারেননি অনেকেই।